বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি শেষ হল ৮৮ তম অস্কার আসর। এখানে বিদেশী ভাষা ক্যাটাগরীতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পাকিস্তানি তথচিত্র ‘এ গার্ল ইন দ্য রিভার: দ্য প্রাইস অব ফরগিভনেস’। এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন সে দেশটির নির্মাতা শারমিন ওবায়েদ। এর আগে তিনি ‘সেভিং ফেইস’ নামের একটি তথ্যচিত্রের জন্য অস্কার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছিলেন।
এদিকে এই তথ্যচিত্রটি গত বছর নির্মাণ হলেও সম্প্রতি পুরো বিশ্বজুড়েই তুমুল আলোড় সৃষ্টি করেছে ছবিটি। যেমন হঠাৎ করে বিশ্বের প্রায় সকল প্রভাবশালী কাগজে এই ডকুফিল্মটি নিয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ নিবন্ধ আর রিভিউ স্থান পেতে লাগলো এই গত তিন চারদিন থেকে!
এরআগেও এই নির্মাতা ‘সেভিং ফেইস’ নামের একটি তথ্যচিত্রের জন্য অস্কার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছিলেন। ২০১২ সালে নির্মিত এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নারীদের মৃত্যুর বিষয় ছিল তার ডকুফিল্মের বিষয়বস্তু!
তবে ‘সেভিং ফেইস’ ডকুফিল্মটির চেয়ে ‘এ গার্ল ইন দ্য রিভার: দ্য প্রাইস অব ফরগিভনেস’ অস্কার পাওয়া বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে পাকিস্তানি বর্বরতা আর শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধেও।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ডকুফিল্মটি যখন চারদিকে সুনাম বয়ে আনছে, তখন বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে পাকিস্তানের শাসক শ্রেনির মধ্যে। তাই হয়তো আগভাগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ডাকলেন নির্মাতা শারমিন ওবায়েদকে। বললেন, এরকম সহিংসতা আর বর্বর আইন মেনে নেবে না তার সরকার। এরইমধ্যে বাস্তবে এমনটা দেখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে নওয়াজ সরকার।
উপমহাদেশের মধ্যে নারী জাতির বেশির ভাগেই বোধয় লাঞ্ছনার শিকার হয়ে থাকেন পাকিস্তানে। যেহেতু সেখানে নারীর প্রেমে পরাকেও পাপ জ্ঞান করা হয়। নারীর প্রেমকে দেখা হয় গর্হিত কাজ হিসেবে। তাই শুধুমাত্র প্রেম করার অপরাধে সেদেশে প্রতি বছরে খুন হতে হয় প্রায় এক হাজার নারীকে। তথ্যচিত্রটিতে এমন তথ্য জানার পর নিশ্চয় হতবাক বিশ্ব!
৫ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন