বিনোদন ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও বিভিন্ন পেশার ক্ষেত্রের বাধার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের। যার একমাত্র উদাহরণ দেয়া যেতে পারে বলিউডের গ্ল্যাম গার্ল সানি লিওনকে। বিতর্কিত একটি জগত থেকে উঠেএসে বলিউডের পেশাদার অভিনেত্রী হওয়ার সুদীর্ঘ পথটায় তাকে পেরোতে হয়েছে নানা চড়াই-উতরাই মধ্যদিয়ে।
বিদ্রূপ, উপহাস, অবজ্ঞা, অবহেলা, অপমান - কোনো কিছুই তার এগিয়ে যাওয়ার পথে বাঁধা হতে পারেনি। ধরাতে পারেনি তার আগামীর স্বপ্নের চলার অটুট মনোবলে। সেজন্যই আজ তিনি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে এমনই এক নারীর জীবনসংগ্রামের কথা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এমটিনিউজ২৪-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধারা হল।
প্রশ্ন : বলা হয়, বিশ্বের বেশিরভাগ পেশাতেই বাধার মুখে পড়তে হয় মহিলাদের। এটা কি সত্যি?
সানি : আমার জীবন সংগ্রামে আমি কখনো লিঙ্গভেদে বিশ্বাস করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আপনি যদি দৃঢ় আর স্মার্ট হন, নিজের কাজটা ঠিক কি সেটা জানেন, আর জীবনে যা করছেন তা খুশি মনে করেন, তবে আপনি নিজেই নিজের এমপ্লয়ারকে বেছে নিতে পারবেন। হ্যাঁ, ভারতে ঐতিহ্যগত কিছু কারণে মহিলাদের উন্নতির শিখরে চড়ার সিঁড়িতে উঠতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
প্রশ্ন : ৫ বছর হল আপনি ভারতে রয়েছেন। আমেরিকার তুলনায় এখানে মহিলাদের নিয়ে ধারণাটা কতটা আলাদা?
সানি : দুটো দেশের জীবনধারা সম্পূর্ণ আলাদা। তবে, অবশ্যই আমেরিকার মানসিকতা অনেক বেশি উদার। কোনো মহিলাকে কোনো ধরনের সাহসী পোশাকে দেখাটা খুব বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু এখানে সমুদ্রসৈকতে কোনো সুন্দরী মহিলাকে সাহসী পোশাক পরে দেখলে সবাই বলতে শুরু করবে কি হচ্ছে এখানে! তবে, এই ঐতিহ্য ও মূল্যবোধই ভারতকে সবার মধ্যে অনন্য করে রেখেছে।
প্রশ্ন : আপনি কি মহিলা দিবস পালনে বিশ্বাস করেন?
সানি : আমার মনে হয় এসবের বদলে গুড হিউম্যান বিং ডে (ভালোমানুষের দিন) পালন করা উচিত। তবে, মহিলা হিসেবে এই দিন পালন ভালোই লাগে।
প্রশ্ন : আপনার স্বামী আপনাকে সাহসী বলেন...
সানি : আমার জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটেছে যা মানুষ জানে না। তবে, আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু খারাপ দিন যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাব, সেটা নির্ভর করে নিজের উপর। আমার আত্মীয়-স্বজন এখন আমার সঙ্গে কথা বলেন না। ওঁরা আমাকে একেবারে পছন্দ করে না, খুব খারাপ লাগে। বিগ বসের পর থেকে সবাই আমায় অবজ্ঞা করে। আমি তাদের কাছে গিয়েও দেখেছি, তারা আমাকে ভালোভাবে নেন না।
সারা ভারত আমাকে গ্রহণ করল, অথচ আমার সঙ্গে যাদের রক্তের সম্পর্ক, তারা আমায় গ্রহণ করলেন না। তারা আমায় একটা ফোন পর্যন্ত করেন না। অবশ্য, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি জানি, আমার প্রকৃত পরিবার কোনটা - আমার স্বামী, ভাই, ড্যানিয়েলের বাবা-মা আর বন্ধুবান্ধবরা। আমি আজ যা, তার জন্য যারা আমায় ভালোবাসে, তাদের নিয়েই আমি খুব খুশি।
০৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই