বিনোদন ডেস্ক : জেলে থাকাকালীন বেতের জিনিসপত্র, কাগজের ব্যাগ বানানো, রেডিও জকি-র কাজ ছিল কয়েদি নম্বর সি-১৬৬৫৬-এর। কিন্তু আপনারা জানের কি, জেলে মিয়মিত কবিতাও লিখতেন সঞ্জয় দত্ত। পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে এটা ছিল তার ডেইলি রুটিন।
সময় পেলেই নিজের জীবন কাগজ-বন্দি করতেন তিনি। একবছরে ৫০০-রও বেশি কবিতা লিখেছেন তিনি ও তার দুই কয়েদি-বন্ধু। এরমধ্যে মুন্নাভাইয়ের একার লেখা প্রায় ১০০ টি। এই সব লেখাই এবার আসতে চলেছে দুই মলাটের বাঁধনে অর্থাৎ সঞ্জয়ের লেখা কবিতাগুলো দিয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে দুটি বই। সঞ্জয় তার এই কবিতা সংগ্রহ বইয়ের আকারে প্রকাশ করতে চান। নাম দেবেন ‘সালাখেন’।
মুন্নাভাই জানিয়েছেন, জেইশান কুরেশি, সামির হিঙ্গল এবং স্বয়ং তিনি- তিনজনের লেখা নিয়ে বই শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। বেশ কিছু প্রকাশকের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। কবিতাগুলিও দেখিয়েছেন। হিন্দিতে লেখা কবিতাগুলি বেশিরভাগই বাস্তবধর্মী। সঞ্জয় এদিন বলেন, তিনি ভাবতেই পারছেন না, এতগুলো কবিতা তিনি লিখে ফেলেছেন।
একটি কবিতার উত্স সম্পর্কে জানিয়েছেন মুন্নাভাই। তিনি বলেন, জেলে থাকাকালীন একদিন তার স্ত্রী মান্যতা দেখা করতে গিয়েছিলেন গায়ে খুব জ্বর নিয়ে। মুন্নাভাই-ই তাকে দেখা করার জন্য জোর করেছিলেন। কিন্তু দেখা হওয়ার পর অসুস্থ মান্যতাকে দেখে খুব কষ্ট হয় তার। কথা বলে ওঠে লেখনী…
‘ আখ মে নামি থি, বদন তাপ রাহা থা, ফির ভি হোটো পে হাসি থি অউর বাত মে প্যায়ার থা… আপকো দেখ কে দুখ হুয়া পর খুশি ভি হুই, উসসি খুশি কে সাথ পায়গাম ভি থা কে আপ মুঝসে মহব্বত করতে হো’..
সঞ্জয় জানান, ভবিষ্যতে পরিবারকে নিয়ে আরও লিখতে চান তিনি। এখন তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরা, অ্যাকশনের।
০৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই