বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৪৫:৩১

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সাধারণত আমরা অধিকাংশ পুরুষ আমাদের সেল ফোনটি প্যান্টের পকেটে রেখেই চলা ফেরা করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় বলেছে, যেসব পুরুষ সাধারণত তাদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন তাদের প্রজননের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাজ্যের এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতির বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্সের গবেষক ফিয়োনা ম্যাথিউসের নেতৃত্বে একদল গবেষক ১০টি গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত রিভিউ করেন এবং এক হাজার ৪৯২টি নমুনা পর্যবেক্ষণ করেন।

গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয় ‘এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল’ সাময়িকীতে। গবেষণার বিষয়ে গবেষক ম্যাথিউস বলেন, সারা বিশ্বে প্রচুর মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশে এর উন্মুক্ত ব্যবহারে সম্ভাব্য ভূমিকাগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল ফোনে সাধারণত যে উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার হয় তা মানুষের শরীরের জন্য এবং স্পর্শকারর অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

ম্যাথিউস স্বীকার করেছেন, তারা যে গবেষণা করেছেন তাতে দেখা গেছে মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিকলাঙ্গ হওয়া থেকে শুরু করে নানান শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। এটি সত্যি উদ্বেগ জনক।

এর আগে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিষয়ক গবেষক নন্দিতা পালসহেটকার বলেছিলেন, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। এ ধরনের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

মোবাইল ফোনের তরঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষতি বিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরাও এ ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমরা পারমাণবিক রেডিয়েশনের কথা বলছি, তবে মোবাইলের ব্যবহার এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে আমাদের শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। -Descrier


২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে