নিউজ ডেস্ক : রান্নাবান্না সবই শেষ। ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন; তাই প্যান্ডেলটা ছোট। প্যান্ডেলের ভেতর খাওয়া-দাওয়ার জন্য একসঙ্গে বসতে পারবেন ৩০ জনের মতো। কন্যাকে বসানো হয়েছে সাজানোর জন্য।
ঘড়িতে সময় তখন সোমবার রাত ৮টা। বরপক্ষ এখনো বিয়ে বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি। এরই মধ্যে কনেকে বধূ সাজিয়ে নিয়ে আসা হলো অনুষ্ঠানে। তখনই বিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হলো এসিল্যান্ডের গাড়ি। এর কিছুক্ষণ পর বিয়ে বাড়িতে এসে পৌঁছে বরপক্ষের গাড়িবহর। গাড়ি থেকে নেমে প্রশাসনিক কর্মকর্তার গাড়ি দেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায় বর। বরের দৌড় দেখে তার বাবাও দৌড় দেন। এ সময় বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যান।
সোমবার রাত ৮টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের আয়োজন চলছিল স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী তানিয়া আক্তারের। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হলেও এসিল্যান্ডের কারণে পণ্ড হয়ে যায় বাল্যবিয়ে।
কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এ বিয়ে বন্ধ করেন এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশীস ঘোষ। বিয়ে বন্ধ করে কনের অভিভাবককে বাল্যবিয়ে না দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কনের অভিভাবক বাল্যবিয়ে না দেয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশীস ঘোষ বলেন, বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এ বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দেবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় পরিবার। বরপক্ষ বিয়ে বাড়িতে এসে আমাদের দেখে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।