চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের টোরাগড় মনির ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রায় ১০টি দোকান, বেশ কয়েকটি বসতঘর, জমিয়ে রাখা প্লাস্টিক বর্জের স্তুপ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় আগুনের তাপে পাশের একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ক্ষতিসাধন হয়।
হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়ার দমকল বাহিনীর ৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা শেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে চারদিকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। এ সময় উক্ত স্থান দিয়ে চলে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে পাশের একটি খেজুর গাছের শুকনো ডালের সঙ্গে স্পার্ক হয়। এ সময় খেজুর গাছের শুকনো ডালটিতে আগুন লেগে সেই আগুন নিচে জমিয়ে রাখা স্তুপাকৃতি প্লাস্টিক বর্জের ওপর পড়ে। প্লাস্টিকের স্তুপে আগুন পড়ে তা মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, কামরুল কাজী ও কবিরের ভাঙারি দোকান, আউয়ালের প্লাস্টিকের ক্যারটের দোকান, নজরুলের মুদি দোকান, কবির হোসেনের মুদি দোকান ও মজনুর মুদি দোকান, টিটুর ওয়ার্কশপ, নুরু ডাক্তারের ফার্মেসী, আফিজ উদ্দিন, সাহাজ উদ্দিনের বসতঘর ও কাদের মোল্লার বসতঘর।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মিজানুর রহমান ও রানা জানান, সন্ধ্যার পর পর ধুলাবালি উড়িয়ে দমকা হাওয়া শুরু হয়। এ সময় এখানে থাকা খেজুর গাছের ডালের সঙ্গে কারেন্টের শর্ট হয়ে খেজুর গাছের ডাল পুড়ে নিচে প্লাস্টিকের স্তুপে পড়ে আগুন লেগে যায়। এ সময় আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই প্লাস্টিকের স্তুপের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে সঙ্গে হাজীগঞ্জ দমকল বাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই জলন্ত অবস্থায় দেখা যায় কেউ এগিয়ে আগুনে পানি দেওয়া দূরের কথা দমকল বাহিনীর পানিও ছিল আগুনের কাছে তুচ্ছ।
এরপরেই খবর দেওয়া হয় শাহরাস্তি ও কচুয়া দমকল বাহিনীকে। দমকল বাহিনীর ৩টি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উক্ত স্থান দিয়ে সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, নিচে প্লাস্টিকের জমানো স্তুপ না থাকলে হয়তো এতোটা ক্ষতি হতো না।