নিউজ ডেস্ক: ভোর রাতে চাঁদ দেখার ঘোষণা দিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা ও সমেসপুর গ্রামের কিছু অংশে উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ১২ মে বুধবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ জামে মসজিদে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার সফিকুর রহমান বলেন, ‘সাদ্রা ও সমেশপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ির মানুষজন ঈদ উদাযাপন করছে। সাদ্রায় মাওলানা আবু বকরের বাড়িতে এবং সমেশপুর গ্রামের মিজিবাড়িতে ঈদের জামাত হয়েছে। অল্প সংখ্যক মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন।’ তিনি জানান, ভোর রাতে তারা ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুরো সাদ্রা গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপিত হবে।
ঈদের জামাতে ইমামতি করা সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, ‘গত রাত ৩টার দিকে আমরা ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছি। এর আগে আফ্রিকার দেশ নাইজার, সোমালিয়াসহ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পাই। তবে তা যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লেগেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই হয়তো বৃহস্পতিবার ঈদ হবে। আমরা সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। সৌদি আরবকে অনুসরণ করে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের জামাত আমাদের এখানে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্য গ্রামেও হয়েছে, হয়তো সব জায়গায় হয়নি, কিছু বাকি রয়েছে। হয়তো সবাই খবর পায়নি অথবা সৌদি আরবসহ অনেক দেশে ঈদ হচ্ছে না সেদিকেই খেয়াল করেছেন। বিশ্বের কয়েকটি দেশে ঈদ হচ্ছে সেটি তারা জানতেন না।’
দরবারের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, ‘হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। তাই গতকাল সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য সূত্রে পেয়ে আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটের খানকা এবং পটুয়াখলির বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে।’