ঢাকা: কেউ নিজ পরিবার থেকে নিগৃহীত আবার কেউবা নিজ ভাই দ্বারা প্রতারিত। কর্মজীবনের একসময়কার নিজস্ব পরিসরে সফল ব্যক্তিগুলো জীবনের নানা চড়া-উৎরাইয়ের পর অবশেষে শেষ বয়সে এসে থাকতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। কর্মজীবনে এদের কেউ ছিলেন শিল্পী, কেউ শিক্ষক আবার কেউবা প্রকোশলী।
বৃদ্ধাশ্রমের এই প্রবীণদের সাথে কিছু আনন্দময় সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে ‘ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব’ এর সদস্যরা ২৪ই আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁও এর ‘বাংলাদেশ প্রবীণ হিতেষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান’ প্রতিষ্টানের প্রবীণ নিবাসে যায়।
‘ব্রিঙ্গিং জয় টু দ্য পিপল অব ওল্ড এজ হোম’ নামের এই প্রোগ্রামের শুরুতেই ক্লাবের সদস্যরা প্রবীণদের সাথে কুশল বিনিময় করে। এরপর ক্লাবের সদস্যরা প্রবীণদের সাথে গান, কবিতা ও গল্প শুনিয়ে ও প্রবীণদের কাছ থেকে গান, কবিতা ও গল্প শুনে সময় কাটান। মুহূর্তেই বৃদ্ধাশ্রম থেকে যেন নবীন প্রবীণের আনন্দময় মিলনমেলায় পরিণত হয়। ক্লাবের সদস্যরা কিছু খাবার ও উপহার সামগ্রী প্রবীণদের মাঝে প্রদান করে। এই সময় উপস্থিত ছিল ক্লাবের উপদেষ্টা, সেলিমা কাদের চোধুরী এবং ক্লাবের নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যগণ।
ক্লাব উপদেষ্টা সেলিমা কাদের চোধুরী বলেন, বৃদ্ধাশ্রম নামের এই আধুনিক কারাগারে পরিবারবিহীন কয়েদির মত প্রবীণদের এই জীবনযাপনে বিষণ্ণতার শেষ নেই। সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধনহীনতার কারণেই প্রবীণদের শেষ বয়সে এই জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পারিবারিক একাগ্রতা, ভালোবাসা, ও বন্ধনই পারে এই অবক্ষয়ের অবসান ঘটাতে বলে তিনি মনে করেন।
ক্লাবের সদস্যরা মনে করেন, প্রবীণরা আমাদের সমাজের অন্যতম অংশ। তাই বৃদ্ধাশ্রম নয় পরিবারই হোক প্রবীণদের শেষ আবাসস্থল।
৩০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস