সোমবার, ১৫ মে, ২০১৭, ০১:১১:২৫

সাঈদীর ফাঁসি না হওয়ায় আমার দুঃখ রয়ে গেল : অ্যাটর্নি জেনারেল

সাঈদীর ফাঁসি না হওয়ায় আমার দুঃখ রয়ে গেল : অ্যাটর্নি জেনারেল

নিউজ ডেস্ক:  ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি না হওয়ায় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে আমার দুঃখ রয়ে গেল’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে সাঈদীর করা আবেদনও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

রিভিউ খারিজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘মূলত প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার ব্যর্থতার কারণে রিভিউ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।’

‘সাঈদীর যে দণ্ড হওয়ার কথা ছিল আদালত তা দিলেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আমার দুঃখ রয়ে গেল।’

‘দেশের সকল মানুষের আশা ছিল সাঈদীর সর্বোচ্চ রায় হবে’- যোগ করেন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা।

সোমবার সকালে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদীর করা আবেদনের উপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ করেন সাঈদী।

এর আগে, আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল আংশিক মঞ্জুর করে বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাচঁ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন।

আপিলের রায়ে বলা হয়, ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস এবং এ অভিযোগের অংশবিশেষে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা,  লুট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।
২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে