সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:২৭:০৭

‘লাশটা এই ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েন, অপেক্ষায় আছে মা’

‘লাশটা এই ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েন, অপেক্ষায় আছে মা’

নিউজ ডেস্ক :  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের দেয়ালের একটি লেখা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ঠিকানা, যেটি ঢাবির ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফের বাড়ির ঠিকানা।

কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই দেয়াল লিখনের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ওই লেখাগুলা দেয়ালে দেয়ালে লিখে রেখেছে।

আজ সরেজমিনে কলা ভবনের গিয়ে দেখা যায়, ডিন কমপ্লেক্সের সামনে কলা ভবনের পশ্চিম পাশে দুটি স্থানে দুটি লেখা রয়েছে। একটিতে লেখা আছে, ‘লাশটা এই ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েন ১০/ই/৩ মধুবাগ। অপেক্ষায় আছে মা।’আরেকটি দেয়াল লিখনে আছে, ‘লাশের ভার বহন করতে পারবি তো।’

আলতাফ পারভেজ নামের একটি ফেসবুক পাতায় আজ ওই দেয়াল লিখনের একটি ছবি শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের কলাভবনে এসেছি আজ একটা কাজে।…এই দেয়াল লিখন দেখে চমকে উঠলাম। এটা কি সময়ের কোন বিশেষ প্রতীকী প্রতিধ্বনি।’ওই ছবির নিচে একাধিক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন।

দেয়াল লিখনে ব্যবহার করা ঠিকানাটি ওয়ালিদ আশরাফের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার অনশনের সময় ছেলেরা হয়তো ওগুলো লিখে রেখেছে। সেখানে ব্যবহার করা ঠিকানাটি আমার বাড়ির।’

এসব দেয়াল লিখন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটা তোমাদের এত দেরিতে চোখে পড়ল? কারা করছে, কী উদ্দেশ্য, কাদেরকে করে করা হচ্ছে, এগুলা তোমরা অনুসন্ধানি প্রতিবেদন করে বের কর, কেমন।’

‘এটাতো আমার চোখে পড়তেছে ইনফ্যাক্ট তোমাকে বলি, ওই যে অনশনে একটা ছেলে (ওয়ালিদ আশরাফ) বসলো না? ওয়ালিদেকে কেন্দ্র করে গত ১৪ থেকে ১৫ দিন বসল। পরবর্তী তিন-চারটা দিন কিছু সংগঠন রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে নানাভাবে নানা দিক থেকে অস্থিতিশীল করার একটা প্রক্রিয়ায় ছিল। তারা এই ভিসি মহোদয়ের বাসভবন পর্যন্ত এরা ই হইছিল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব দেয়াল লিখনের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্দেশ্য এবং বিশেষ কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এগুলো করা হচ্ছে। এত দেরিতে তোমরা এটা খেয়াল করলা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে, উচ্চ শিক্ষার বিরুদ্ধে এটা বড় ধরনের একটা ষড়যন্ত্র করছে কেউ।’

অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিভিন্ন দেওয়ালে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় লিখেছে এবং এই ধরনের উদ্দেশপ্রণোদিত কিছু স্লোগান লিখেছে। যেটার পেছনে পরবর্তীতে আমরা দেখলাম যে, কেউ হয়তো এই সুযোগকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। এটা একটা ই তৈরি করে দিচ্ছে। মানে এই ধরনের শব্দ চয়ন, এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ, এই ধরনের স্লোগান কিন্তু আমরা কিন্তু কখনোই দেখিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে