নিউজ ডেস্ক: প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকা খুইয়েছেন অর্ধ লাখ টাকা।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বলেন, প্রতারক চক্রের সব নাম্বারের খোঁজখবর নিয়ে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব।
বুধবার রোকশনা বেগম নামে দোয়ারাবাজারের রজনী সুগন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে খুইয়েছেন ৫২ হাজার ৫৫৫ টাকা।
ওই শিক্ষিকার বাড়ি উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের চৌমোহনা গ্রামে। প্রতারণার শিকার প্রধান শিক্ষিকা রোকশানা বেগম জানান, তার মোবাইল ফোনে প্রথমে ৮১৮১ নাম্বার থেকে একটি মেসেজ আসে- তার মোবাইল নাম্বারে একটি লটারি লেগেছে।
পরে ০১৮৬৩ ৩৫৭ ৯৫০ নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয়, আমি রবি থেকে বলছি- আপনি ভাগ্যবান। আপনার নামে রবির লটারিতে ৩২ লাখ টাকার একটি মার্সিটিজ গাড়ি লেগেছে। আপনি গাড়িটি পেতে হলে আমাদের কোম্পানির ভ্যাট দিতে হবে। তারা আরও বলেন- আপনাকে সকাল-সকাল আমাদের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে হবে।
এদিকে ৫২ হাজার ৫৫৫ টাকা পাঠানোর পর আরও ১৫ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশের দোকানে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিক এত টাকা কার কাছে পাঠাচ্ছেন জানতে চান শিক্ষিকার কাছে। এরই মধ্যে শিক্ষিকার কানে লাগানো মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা প্রতারক চক্রের কানে সাংবাদিকের কথার আওয়াজ গেলে প্রতারক শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করে কে কথা বলছেন?
উত্তরে শিক্ষিকা যখন সাংবাদিকের পরিচয় বলেন, তখনই ফোন কেটে দিয়ে তা সুইচড অফ করে দেয় ওই প্রতারক। পরে বারবার ওই নাম্বারসহ টাকা পাঠানো সব নাম্বারে কল দিলেও সব কটা নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।
শিক্ষিকা জানান, তার মোবাইল নাম্বারে কোন দিন কত টাকা রিচার্জ করা হয়েছে এবং বর্তমান ব্যালেন্সে কত আছে, ইন্টারনেটের ব্যালেন্স কত- সব কিছু বলে দেয়ার পর তিনি তাদের কথা বিশ্বাস করেন এবং লটারির গাড়ি পাওয়ার আশায় টাকা পাঠান। এর পর বুধবার সকাল থেকে তিনি এক দোকান থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচটি রবি নাম্বারে ৫২ হাজার ৫৫৫ টাকা পাঠান।