সোমবার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো দেশবাসীকে চমক দেখালেন নুরুল হক নুর। অথচ এই নুরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছিল সংশয়। কারণ তার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কোন পরীক্ষায়ই জিপিএ ফাইভ ছিল না।
জানা যায়, নুর ২০১০ সালে গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর গোলাম নবী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৪.৯২ ফলাফল অর্জন করে এবং ২০১২ সালে ঢাকা উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে একই ফলাফল অর্জন করার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । কিন্তু তার মেধা ভালো থাকার কারণে জিপিএ ফাইভ না পেলেও ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পায় সে।
নুর পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে। ডাকসু নির্বাচনে তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল-রাশেদ-ফারুক প্যানেলে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
এছাড়া তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নুরুলের বিজয়ে গলাচিপার সর্বস্তরের জনগন আনন্দ প্রকাশ করছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পিতা ইদ্রিস হাং ১৯৭৫ সালে পটুয়াখালীর জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের পৈত্রিক নিবাস ছেড়ে নুরুলের দাদা ও ৩ চাচা গলাচিপার উত্তর চরবিশ্বাস এলাকায় বসবাস শুরু করে।
১৯৯১ সালে তার পিতা ইদ্রিস হাং নিজ এলাকায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তার ৬-৭ কানি জমি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নুরুলের ৬ বছর বয়সে তা মা নিলুফা বেগম মারা যায়। নুরুলের ৫ বোন ও ৩ ভাই রয়েছে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে নুরুল মেঝ। নুরুলের বড় ভাই নুরুজ্জামান হাং ও ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম ঢাকা উত্তরা এলাকায় মুদি মনোহরী ও গেঞ্জি বিক্রির ব্যবসা করে।
তার ৫ বোনের মধ্যে তিন বোন বিবাহিত। বাকি দুই বোন মধ্যে সীমা আক্তার দশমিনা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে এবং ইতি আক্তার চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে।