নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হলো ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন। এতে ভিপি (সহ-সভাপতি) নির্বাচিত হয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নুর এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ঢাবির ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএসের কী কী ক্ষমতা রাখেন এবং তারা কী কী সুযোগ-সুবিধাইবা পান তা জানার আগ্রহ অনেকের।
জানা গেছে, ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি ও জিএস আলাদা কোনো ভাতা-সম্মানী না পেলেও সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি। এ পদ দুটির সবচেয়ে বড় গুরুত্ব হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দুটি বডি ‘সিনেট’ এবং সিন্ডিকেট’ এর সদস্য হবেন তারা। সেখানে তারা ঢাবির হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরতে পারবেন। পাশাপাশি ছাত্রদের স্বার্থপরিপন্থী যে কোনো বিষয়ে তারা সেখানে প্রতিবাদ করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং সিন্ডিকেটে দেশের ভিআইপি ব্যক্তিরা সদস্য হন। এ দুই বডিতে তারাও অন্য সদস্যদের মতোই ক্ষমতাবান হিসেবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের মতামত প্রদানের সুযোগ পাবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেটসহ যেকোনো কর্মসূচিতে তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন তারা।
নীতি নির্ধারণী সভাগুলোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব কাজ-কর্মেই কোনো না কোনোভাবে তাদের সম্পৃক্ততা থাকবে। সমাবর্তন বা যে কোনো কর্মসূচিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনুমোদন এবং বিভিন্ন উন্নয়নের যে পরিকল্পনা হয় তার কমিটির সদস্য হিসেবেও থাকবেন তারা।
তাছাড়া সিলেকশন বোর্ড, যেখানো কাউকে চাকরি দেওয়া বা চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। সেখানেও একজন প্রতিনিধি হিসেবে তাদের কর্তৃত্ব থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জরুরি ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি কোনো বৈঠক হলে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা ওখানেও থাকবেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বডিতে থেকে নিয়মতান্ত্রিক কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না তারা। তবে, সিনেট কিংবা সিন্ডিকেটের বৈঠকে যোগদান করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা পাবেন। তাছাড়া সিন্ডিকেট বা অন্যকোনো বডি থেকে তাদের কোনো দায়িত্ব দিলে সেজন্য যদি কর্তৃপক্ষ সম্মানী দেয় তা-ও তারা পাবেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বডি হচ্ছে- ‘সিনেট’ ও ‘সিন্ডিকেট’। এসব বডির সদস্য নির্বাচিত হন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এসব বডির সদস্য নির্বাচিত করা হয়। যেখানে শিক্ষক প্রতিনিধিও থাকেন। ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ভিপি-জিএসরাও এসব বডির সদস্য হবেন।’