নিউজ ডেস্ক : ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টাকারী মিজানুর রহমানের বাসায় গিয়ে ওয়াসার লোকেরা তাকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় জুরাইনে তার বাসায় ঢুকে তারা হুমকি দেন।
এদিকে ওয়াসার পানিতে ময়লা-আবর্জনার অভিযোগ ওঠায় ১৮ এপ্রিল আদালতের দেওয়া নির্দেশে ঘটনা তদন্তে ১৯ এপ্রিল পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৫ মের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, দুপুরে কয়েক ব্যক্তি কোনো অনুমতি ছাড়াই আমার বাসায় ঢুকে পড়েন। পরে আমি তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তারা আমার সঙ্গে ক্রুদ্ধ ভাষায় যা-তা বলেন। আমি ফোন কেটে দ্রুত বাসায় যাই। সেখানে কী হয়েছে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করি। তিনি জানান, ওয়াসার লোকজন হঠাৎ করে বাসায় ঢুকে হামলা-মামলার হুমকি দেন।
মিজানুর বলেন, তারা আমাকে মামলা-হামলার ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তারা দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা অন্তত পাঁচ-ছয় জন আমার বাসায় এসেছিলেন, সবাই ওয়াসার লোক, আমি তাদের সবাইকে চিনি।
এদিকে ওয়াসার এমডিকে শরবত খাওয়ানোর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মনিরুল ইসলাম ফরাজী গতকাল পত্রিকা অফিসে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেছেন, ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে পাঁচটি ফোন নম্বর থেকে তাকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। তারা সবাই বার বার তার বাসার ঠিকানা জানতে চেয়েছেন। ফরাজী বলেন, মিজান ভাইয়ের মতো আমাকেও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হতে পারে। যেসব নম্বর থেকে তাকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ০১৮১৯২২৯৪২০, ০১৭৭১৪২৯১৯৪, ০১৫৩১২১৪২০০। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানীবাসী ‘১০০% সুপেয় পানি’ পাচ্ছে বলে ওয়াসার এমডি যে বক্তব্য দিয়েছেন একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি তা গ্রহণ করতে পারিনি। তার বক্তব্য আমিসহ পুরো রাজধানীবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। তার বক্তব্য এবং বাস্তবতায় মিল না থাকার কারণেই মূলত ওয়াসার পানি দিয়ে আমরা তাকে শরবত পান করানোর মতো একটি ভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ করেছিলাম।