জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ঢাকা শহরের একটি বড় অংশকে গণপরিবহনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ও রিকশা : বাস্তবতা, সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এ বৈঠকে অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম বলেন, গণপরিবহনকে আওতায় আনার বিষয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে এর প্রতিকার কী তা কার্যকর করতে হবে।
ঢাকায় রিকশা বন্ধের আগে কেন বন্ধ করা প্রয়োজন সে যুক্তি দাঁড় করাতে হবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, যেখানে গাড়ি স্পিডে চলে সেখানে রিকশা বন্ধ করতে হবে। যদি চলেও তাহলে রিকশার জন্য আলাদা লেন থাকতে হবে। কার এবং রিকশা পার্কিংয়ের জন্য আইন করতে হবে। তাহলে যানজট অনেকাংশে কমবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে রিকশা নেই। কিন্তু এটা কেউ বলে না যে সেখানে সাইকেলভিত্তিক শহর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকায় আমরা রিকশাভিত্তিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।
ট্রাফিক পুলিশের শাহবাগ জোনের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, মোটর ভেহিক্যাল আইনে রিকশা বা চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিধান নেই। রিকশার রেজিস্ট্রেশন দেয় সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কেও জানেন না। এজন্য এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
তিনি বলেন, হিসাব করলে দেখা যায় বিমান থেকে রিকশা ভাড়া বেশি। এরপরও মানুষ অযান্ত্রিক এ বাহন ব্যবহার করেন। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন আমার বাবার বয়সী কেউ আমাকে টেনে নিয়ে যায়।
বিলসের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, ঢাকায় রিকশা তুলে দেয়ার মতো অবস্থা নেই। তবে বৈধ রিকশা রেখে অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ করতে হবে। যে ভিআইপি সড়কে রিকশা চলে না সেখানেও যানজট। সুতরাং রিকশা যে যানজটের প্রধান কারণ সেটা সঠিক নয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিলসের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট খন্দকার আবদুস সালাম প্রমুখ।