নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে প্রাণপ'ণে ল'ড়ছে মানুষ। ডাক্তাররা ল'ড়ছেন মানুষের জীবন বাঁ'চাতে। মহামা'রি করোনার সঙ্গে নিজেরা ল'ড়ে মানুষকে সুস্থ করে তুলছেন। আর মানুষ ল'ড়ছে টিকে থাকতে। অন্ন জোগাতে। বেঁ'চে থাকতে। কর্মহীন হওয়া মানুষগুলো খুঁজছে আয়ের পথ। বেঁ'চে থাকতে নামছে খাবারের সন্ধানে। খাদ্য সহায়তায় কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে আবার কেউবা পাচ্ছেন সরকারি সহায়তা। যদিও মানুষের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়, কিন্তু খাবারহীন মানুষের ঘরে আসছে দু-মুঠো খাবার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত মানুষের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ল'ড়াই করছেন। দুই বেলায় প্রায় এক হাজার মানুষকে খাবার খাওয়াচ্ছেন সৈকত।
সৈকত জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র বড় ভাই, পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তা এনে টানা দুই মাস ধ'রে দরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছি। ৬০ দিন দুই বেলা করে খাবার দেওয়া পর ঈদে সবাইকে নতুন জামা উপহারও দিচ্ছি। কিছুটা নিজের অর্থ থেকে আবার কিছুটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী শতাধিক শিশুর ঈদের জামা উপহার দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতিদিন এক কাপড়ে খাবার নিতে আসা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে দেখে ঈদে নতুন কাপড় উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাঁচশ’র বেশি মানুষকে নতুন পোশাক দেয়া একার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কয়েকজনের সহায়তা নিয়ে নতুন কাপড় কেনা হয়েছে। শিশুদের পোশাক ও ছিন্নমূল নারীকে একটি করে শাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে। এখন পুরুষদের লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি দেওয়া বাকি, সেটাও কেনা হয়েছে। আজ শনিবার সবাইকে দেওয়া হবে। রজমান মাসে ইফতার ও সেহরীও খাওয়াচ্ছেন তিনি। ঈদের দিন বিশেষ খাবার খাওয়ানো পরিকল্পনা রয়েছে তার। দুই দফায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মানুষের মুখে খাবার দিচ্ছেন।
গত ২৩ মার্চ থেকে তিনি একাই শুরু করেছিলেন এ কাজ। পঞ্চাশজন মানুষকে চাল, ডাল ও আলু দেওয়ার মাধ্যমে তার কার্যক্রম শুরু। তানভীর হাসান সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য। ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির সদস্য।
বিত্তবান মানুষগুলোকে ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি। নিজের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে বলেন, আমার এই ০১৬৮৪০২৩৪১১ নম্বরটিতে বিকাশ হিসাব খোলা আছে। চাইলে আপনারাও সহযোগিতা করতে পারেন। আমি একা করছি না, সবাই সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি।