নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়ার পর নদীর তলদেশে তা উপুড় হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন ডুবুরিরা। ডুবুরিদের উদ্বৃতি দিয়ে উ'দ্ধার অভি'যান পরিচালনাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃ'তদেহ উ'দ্ধার করা হয়েছে। তবে ডুবুরিরা দেখেছেন লঞ্চটির ভেতর আরো মৃ'তদেহ রয়েছে। তবে তা উ'দ্ধার ক'ঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা, লঞ্চটি উপুড় হয়ে থাকার কারণে ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
কর্মকর্তারা আরো জানান, ডুবুরিরা দড়ি ও অক্সিজেনের নল নিয়ে পানির নিচে ডুব দেন যা পানির ওপর নৌকায় থাকে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি যে অবস্থায় আছে তাতে অনেক সময় অক্সিজেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ কারণে বাকি লা'শ উ'দ্ধারে এখন ঝুঁ'কিপূর্ণ। তবু সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে সব লা'শ উ'দ্ধারের।
আজ সোমবার (২৯ জুন) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তবে স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, লঞ্চটিতে এর চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। ঘটনার পরপরই উ'দ্ধার অভি'যান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। জানা গেছে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম মর্নিং বার্ড। ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধা'ক্কায় অন্তত ৫০ যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা ডক এরিয়ার পাশে ডুবে যায় ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী লঞ্চটি।
এদিকে, উ'দ্ধার কাজে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডাব্লিউটিএর উ'দ্ধারকারী জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে। এটি এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।
বিআইডাব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। এটি সদরঘাটে বার্দিং করার আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধা'ক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চটি।