রাজধানীতে বিশেষ অভি'যান চালিয়ে সাখাওয়াত হোসেন সুমন নামে এক ভু'য়া ডাক্তারকে দ'ণ্ড এবং তার হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে র্যাব। এছাড়াও অন্যদেরও বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে। দ'ণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি টক শোতে অংশগ্রহণ, চিকিৎসায় অবদানের জন্য ক্রেস্ট, ছবিসহ বিভিন্ন কিছু থাকলেও চিকিৎসক হওয়ার সনদ বা কোনো প্রমাণ ছিল না। রোগীকে পরীক্ষা ছাড়াই ভু'য়া রিপোর্ট দিতেন তিনি।
রবিবারের অভি'যান বিষয়ে র্যাব জানায়, ওই হাসপাতালে কর্মরত ১২ 'চিকিৎসকের' বেতন না দেওয়ায় ক্ষু'ব্ধ হয়ে তারা অভি'যোগ করেন। অভি'যোগের ভি'ত্তিতে র্যাব-৩ রাজধানীর ডেমরা এলাকার সারলিয়ায় অবস্থিত ওই হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অ'ভিযান চালায়।
এদিকে সম্প্রতি আলোচিত সাহেদ করিমের রিজেন্ট হাসপাতালেও অভি'যান চালিয়ে তার সব শাখা সিলগালা করে র্যাব। সাহেদ করিমও ভু'য়া পরিচয় দিতেন এবং টক শোতে অংশ নিতেন।
গণমাধ্যমকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু জানান, এসএইচএস হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল সেন্টারে অভি'যান চালিয়ে সিলগালা করা হয়েছে। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এটি পরিচালনা করতেন এর মালিক সাখাওয়াত হোসেন সুমন। আমরা তিনি রোগী দেখা অবস্থায় সেখানে অভি'যান চালাই। অভি'যানে তিনি আমাদের চিকিৎসা সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেননি। তবে তার চেম্বারে সিল, প্যাড, ভিজিটিং কার্ড এসব পাওয়া গেছে। চিকিৎসায় অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্রেস্ট, টেলিভিশন টক শোতে অংশগ্রহণের সনদও রয়েছে তার।
তিনি জানান, সুমন নিজেকে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিত। রোগীদের বিভিন্ন নমুনার পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিত। এক বছর আগে তার হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেন সিলিন্ডার, কার্বন ডাই অক্সাইডের সিলিন্ডারকে অক্সিজেন সিলিন্ডারে রূপান্তরসহ নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে।
র্যাবের এ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তার হাসপাতালে ১২ জন চিকিৎসক আছেন জানালেও আসল চিকিৎসক মাত্র একজন। তাদের বেতনও ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছিল না। তখন তারা র্যাবে অভিযোগ দেন। এ ছাড়া তার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদন নেই এমন ওষুধ বিক্রি হচ্ছিল।
পলাশ বসু জানান, সাখাওয়াত হোসেন সুমনকে দুই বছর বিনাশ্রম কারা'দ'ণ্ড ও দুই লাখ টাকা জ'রিমানা করা হয়েছে। অন্যদেরও বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরর কর্মকর্তা ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।