সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ০৫:৫১:৩৯

গ্রেপ্তারের পর রাতভর হা'জতে থাকলেও ডা. সাবরিনার খোঁ'জ নেয়নি পরিবার

গ্রেপ্তারের পর রাতভর হা'জতে থাকলেও ডা. সাবরিনার খোঁ'জ নেয়নি পরিবার

ঢাকা: করোনার পরীক্ষার নামে প্র'তারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক'থিত ‘স্বেচ্ছাসেবী’ প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী থানা হা'জতে স্বাভাবিক রাত পার করেছেন। তবে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময়েও পরিবারের কেউ খোঁ'জ নেননি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সাময়িক বরখা'স্ত হওয়া কার্ডিয়াক সা'র্জন সাবরিনার।

পুলিশ সূ'ত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির তেজগাঁও উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয় থেকে তাকে নে'ওয়া হয় তেজগাঁও থানায়। এরপর থানার ‘উইম্যান এন্ড চাইন্ড কেয়ারের’ একটি রুমে তাকে রাখা হয়। রাতভর তিনি সেখানেই ছিলেন। তার সেলের দায়িত্বে ছিলেন তিনজন নারী কনস্টেবল।

হা'জতে থাকার সময় ডা. সাবরিনা স্বাভাবিক ছিলেন। তবে মাঝে মধ্যে তাকে কিছুটা বিচ'লিত দেখা গেছে। রাতে পুলিশের দেওয়া খাবারই খেয়েছেন। তবে হাজ'তখানায় থাকার সময় পরিবারের কেউ দেখা করতে কিংবা খোঁ'জখবর নিতে আসেননি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উদ্ধর্তন এক কর্মকর্তা সোমবার দুপুরে বলেন, ‘ডা. সাবরিনাকে থানা হে'ফাজ'তে আনার পর উইম্যান এন্ড চাইন্ড কেয়ারে তিনজন নারী কনসটেবলের দায়িত্বে রাখা হয়। বাইরের কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনও অফিসারও না। সিনিয়র অফিসাররা সবসময় ত'দার'কি করেছেন। থানাহা'জতে তিনি (সাবরিনা) স্বাভাবিকই ছিলেন। রাতে পুলিশের দেওয়া খাবারই খেয়েছেন। ঘুমিয়েছেনও…। সকালে নাস্তা করিয়েই তাকে কোর্টে নেওয়া হয়েছে।’

স্বামী আরিফ চৌধুরীর মতো তার মধ্যেও মা'দকাস'ক্তির কোনও ল'ক্ষণ দেখা গেছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তার স্বামী আরিফ যেমন থানা হাজতে থাকার সময় পুলিশের কাছে ই'য়াবা চেয়েছিল, কিংবা তার কর্মীরা আমাদের ওপর হা'মলা করেছিল এমন আশ'ঙ্কা থেকেই আমরা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

‘তবে তিনি ই'য়াবা বা খারাপ কোনও দা'বি করেননি। আর তিনি ই'য়াবা আস'ক্ত এমনটাও আমাদের মনে হয়নি। আর নে'শার অ'ভ্যাস থাকলেও সেটা তো একবারে বোঝা যায় না।’

গ্রেপ্তারের পর পরিবারের কেউ খোঁ'জ নিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘থানা হে'ফাজ'তে থাকার সময় পরিবারের কেউ তার খোঁ'জখবর নেয়নি। তবে তার গাড়ির চালক একবার থানায় প্রবেশের চে'ষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা তাকে গেট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছি। যতটুকু জানতে পেরেছি তিনি (সাবরিনা) বাবার সঙ্গে শ্যামলীতে থাকতেন।’

এদিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের জা'লিয়া'তির মাম'লায় ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে তিন দিনের রি'মা'ন্ডে নিয়ে জিজ্ঞা'সাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে