অ্যাড. এমদাদুল হক লাল, আদালত প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি বোমা পুতে রাখার মামলায় আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২এর বিচারক মোসা. মমতাজ বেগম সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৩১ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এনিয়ে মামলাটিতে ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
সাক্ষীরা হলেন, মো. ইসরাইল, মো. বিকুল হোসেন, আশিষ কুমার ঘোষ এবং অলি আহমেদ আব্বাসী।
মামলাটির ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি সেয়দ সামছুল হক বাদল সূএে জানা গেছে, মামলাটির মোট সাক্ষী ৮৩ জন। এদের ৪৮ জনের মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য গোপালগঞ্জের আদালত গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।৪১ জন সাক্ষী ২০০৫ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত গোপালগঞ্জের আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বিগত ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান গত ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে মুজাহিদ ট্রেনিংপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশি নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জে বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করে। সে কারখানায় আসামিদের নিয়োগ প্রদান করে এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী আসামিরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখত। প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসার কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর গত ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুতে রাখেন।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস