এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপরে। কোনোটি আবার ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকার নারিন্দা কাঁচা বাজার, রায়সাহেব বাজার ও ধূপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপরে। তবে সর্বোচ্চ দাম বেগুনের। এক মাসের বেশি সময় ধরে গোল বেগুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। একই রকম চড়া দাম কাঁচা মরিচের। গত দুই মাস ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
বাজারে এখন প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ৮০, ঝিঙা ৮০, কচুরমুখী ৮০, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০, করলা, লম্বা বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি। তবে কলার হালি ৪০, ছোট লাউ ৫০, বড় লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। আর চায়না গাজরের দাম ২০ টাকা কমে এখন ১০০ টাকা।
রায়সাহেব বাজারের বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, সবজির দাম এ মাস পর্যন্ত বেশি থাকবে। বৃষ্টি কম হলেও এখনই দাম কমবে না। শীত আসার আগে আগে দাম কমবে।
চড়া দামে অস্বস্তি জানিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মমিনুর রহমান বলেন, দুই থেকে তিন মাস সবজির দাম চড়া। একটা সবজি কিনতেই ১০০ টাকা শেষ। মাছ-মাংসের হিসাব তো বাদ। আগেও যেমন ছিল, এখনও তেমন। অন্তর্বর্তী সরকার কোনও পরিবর্তনই করতে পারেনি।
বাজারে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম চড়া। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া ৭০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৪০০-৫০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অন্য সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।
এছাড়া দেশি শিং মাছের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের শিং মাছের কেজি ৪০০ থেকে সাড়ে ৪৫০ টাকা। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশের দামও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নারিন্দা কাঁচা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘মাছ হলো কাঁচা মাল। আজ শুক্রবার। কাস্টমার বেশি। মূলত সে জন্য দাম বেশি। যেদিন দেখবেন কাস্টমার কম। ওইদিন দাম এমনি কমায়ে দেবো। আড়তে আসলে দাম বাড়ে নাই।’
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
ধূপখোলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, মুরগীর দাম বেশি বাড়েনি। ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে মূলত মুরগির চাহিদা বেশি। মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মুরগি বেশি নিচ্ছে। সে জন্য মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে।