ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ‘কমিউনিটি শক্তিশালীকরণ এবং নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে শিশু পাচার প্রতিরোধ’ বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৩ মার্চ, ২০১৬ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. সালমা আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিস লিওনি কুয়েলিনিয়ার, এমবেসেডর, এমবেসি অব দ্যা কিংডম অব দ্যা নেদারল্যান্ডস ইন বাংলাদেশ। এছাড়া মিস ইলা ডি ভুগড্, ফার্স্ট সেক্রেটারি, নেদারল্যান্ডস এমবেসি; উম্মে কুলসুম, যুগ্ম সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাহমুদুল কবীর, কান্ট্রি ডিরেক্টর, টিডিএইচ; ডঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
এ্যাড. সালমা আলী বাংলাদেশে পাচারের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে পাচার প্রতিরোধ এবং পাচার বিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমাদের দেশে ৪৬ শতাংশ শিশু। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া ১০৯২১ নম্বরে ফোন করে পাচার বা সহিংসতার ক্ষেত্রে সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি শিশু পাচার প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি কমিউনিটি নেটওয়ার্কের কথাও উল্লেখ করেন। ইনসিডিন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম মাসুদ আলী বলেন, প্রয়োগযোগ্য কর্মসূচির আওতায় শিশুদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য। ৯০ শতাংশ মানুষ জানে না কাদের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তাই কমিউনিটির জনগণকে সচেতন করাই পাচার বিরোধী নেটওয়ার্কের কাজ হবে, যেখানে ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রাথমিক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম বলেন, জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে পারলে শিশু পাচার রোধ করা যাবে এবং প্রত্যাবাসন কাজ সম্পাদন করা সহজতর হবে।
১৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস