আরিফুল ইসলাম আরিফ, জাবি প্রতিনিধি: বর্তমানে জাবি প্রশাসন র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অতীতে তা কখনও দেখা যায় নি। ক্যাম্পাসে সর্বত্র প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি হলগুলোতেও প্রাধ্যক্ষ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের খোজঁখবর নিচ্ছেন। ক্যাম্পাসের কোথাও কোনরকমের দলবদ্ধ অবস্থায় বসে থাকতে দেখলে ছবি ও ফুটেজ ধারণ করতে বলা হয়েছে ক্যাম্পাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের । এমনকি মাইকিং করেও ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।
র্যাগিংয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি) শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুযায়ী আজীবন বহিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। প্রতিবছর নবীণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আগমন উপলক্ষে র্যাগিং এর মতো নেতিবাচক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। এজন্য এবছর নবীণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যাতে কোন ধরনের র্যাগিং না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে গেছে জাবি প্রশাসন।
শনিবার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন(প্রক্টরিয়াল বডি) ও হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সূত্রে জানা যায়, র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী আজীবন বহিস্কারের বিধানসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ । এছাড়া অভিযুক্ত হিসেবে কেউ প্রমাণিত হলে তাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে। র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
ইতোমধ্যে রসায়ন বিভাগে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রদের র্যাগিংয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ও প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং সিনিয়রদের শাস্তিস্বরুপ কানধরে উঠবস করান । পরবর্তীতে যেন এধরনের কার্যকলাপ করা না হয় সেজন্য তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রতিও নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন , “ক্যাম্পাস যাতে র্যাগিংমুক্ত রাখা যায় ,সেজন্য প্রক্টরিয়াল টিম খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে”।
১৩ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস