আরিফুল ইসলাম আরিফ, জাবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দীর্ঘ ৬ বছর পর অবশেষে মিরপুর রুটে পুনরায় বাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মিরপুর থেকে যাতায়াত করলেও ২০১১ সাল থেকে এই রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হতো। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে এই রুটে বাস চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল। বারবার আশ্বাসের পর কার্যত কোনো ফল না আসায় পরিবহন চত্ত্বর ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা পরিবহন চত্ত্বর ঘেরাও করে রাখে। এসময় একটি বিক্ষোভ মিছিলও বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পরিবহণ চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে আবার পরিবহণ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
ঘেরাও চলাকালে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি বাস অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এসময় পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. এমদাদুল হক এসে আবারও আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয়নি।
পরে দেড় টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, বাস চালুর ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এসময় প্রক্টরকে ঘিরে নানা রকম প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে প্রক্টর ও পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মিরপুর রুটে পুনরায় বাস চালুর ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. এমদাদুল হক জানান, আগামীকাল সোমবার থেকে একটি দ্বিতল বাস নিয়মিত মিরপুর রুটে যাতায়াত করবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর থেকে ক্যাম্পাসে আসবে এবং বিকাল তিনটায় মিরপুরের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছাড়বে।
ঘেরাও কর্মসূচি শেষে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল ও সাধারণ সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বোধদয় হয়েছে। মিরপুর রুটে বাস চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তী লাঘব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
১১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস