আরিফুল ইসলাম আরিফ, জাবি প্রতিনিধি: তনু হত্যার বিচারের দাবিসহ হত্যা ও গুম-খুনের বিরুদ্ধে ডাকা আধাবেলা হরতাল পালনকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ২০ জনের বেশি আহত এবং ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক(জয় বাংলা) গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তারা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার পদত্যাগ দাবি করে।
আটককৃতরা হলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক হেলাল অনিক, সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম, প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক সিয়াম, কার্যকরী সদস্য রাকিব, জামিল, চন্দন, নিতুণ, মাহাথির, আকাশ, তানি।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের পক্ষে সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য নাহিদ তাসনিম রিয়া লিখিত বক্তব্যে আটককৃতদের মুক্ত করতে প্রশাসনকে এক ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান। পরে বিকাল তিনটায় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আশুলিয়া থানায় যান এবং চারটার দিকে আটক ১২ জন শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল জানান, আমাদের দাবিতে অনড় আছি। আটককৃতরা ম্ক্তু হলেও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত থাকবে।
প্রক্টরের মদদে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা জানান,‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ক্যাম্পাসের বাইরে যা রাষ্ঠ্রীয় সম্পদ। পুলিশ প্রশাসন মহাসড়ক অবরোধকারীদের আটক করে। কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে আমরা তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি চায় তবে তদন্ত কমিটি গঠন করে যারাই দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের প্রক্টরের জিম্মায় ছেড়ে দিলেও এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ইনচার্জ মহসিন কাদির কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
২৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস