ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যে ১০ যুবকের নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশারও নিখোঁজ আছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামা আবুল কাশেম জানান, ২০০৭ সালে বাসারুজ্জামান নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর থেকে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়।
তিনি জানান, বছর দুই আগে ঢাকায় বিয়ে করার পর সে তেমন বাড়ি আসত না। গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের পর বাড়ির লোকজন বাসারুজ্জামানের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানতে পারে।
গত ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী যুবকদের সবাই বেশ কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন, যাদের মধ্যে নিব্রাস ইসলাম ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভারসিটির ছাত্র।
এর এক সপ্তাহের মাথায় শোলাকিয়ায় হামলা চালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত আবীর রহমানও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনিও চার মাস আগে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের দাবি।
বাসারুজ্জামানের স্বজনরা জানান, সে নিখোঁজ তা তারা এতদিন জানতেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকার তেজগাঁওয়ে তার যে ঠিকানা দিয়েছে, সেটি তার শ্বশুরবাড়ি। নিখোঁজের আগে ওই বাসাতেই তিনি ছিলেন।
মামা আবুল কাশেম জানান, বাসারুজ্জামান দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। সংবাদ মাধ্যমে ছবি আসার পর তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গত ৬-৭ মাস ধরে শ্বশুরবাড়ির কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।
তিনি শুনেছিলেন, বাসারুজ্জামান দুই বছর আগে বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছেন। তবে ওই কোম্পানির নাম জানতেন না।
আবুল কাশেম জানান, গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি সরকারি কলেজে এইচএসসি করে। সে বিয়ের পর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল মাত্র একবার।
তানোর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, ঈদের আগে বাসারুজ্জামানের শ্বশুর তেজগাঁও থানায় জিডি করেছেন। সে সত্যিই বিদেশে গেছেন না দেশেই আত্মগোপন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম