দিনাজপুর প্রতিনিধি:নাম বদলু বর্মণ, বয়স ৭০ এর কোঠায়, স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে এই পৃথিবীতে কেউ নেই । একে একে সবাই বদলু বর্মণকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে । বয়সের ভাবে শারীরিকভাবে কোনো পরিশ্রম করতে পারে না। তাই কেউ খাবার দিলে খাওয়া হয় না দিলে উপোস থাকতে হয় বদলু বর্মণকে । তার মধ্যে আবার মাথার উপর ছাদটুকুও নেই।
বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, মারা যাওয়ার পর ২০ বছর ধরে একা বসবাস করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া গ্রামের মৃত ফটেকে ছেলে বদলু বর্মণ।
বদলু বর্মন জানান , গত ১০ বছরে বিভিন্ন রোগে শোকে আমার পরিবারের ৫ জন মারা গেছে , তখন থেকেই আমি মানুষের বাড়ীতে কাজ করতাম আর ঘুমানোর কাজটা সেই বাড়ীতেই হত । আমার বয়স বেশি হওয়ায় অনেক রোগ আমার শরীরে বাসা বেধেছে । তাই আগের মত আর কাজ করতে পারি না আর এজন্য মানুষের বাড়ীতে কেউ থাকতেও দেয় না। ৪ বছর ধরে খানসামার রামকলা বাজারের অব্যবহৃত দোকানে থাকি, সেই দোকানগুলো চালু হয়ে গেছে। থাকার মত কোনো জায়গা নেই, সরকারি বয়স্ক ভাতা ও মানুষের সহযোগিতায় কোনোরকম খাওয়া-দাওয়া চলতো ।
অসহায় দুঃস্থ বদলু বর্মণকে নিজস্ব অর্থায়নে ঘর তৈরি করে দিলেন ভেরভেরি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মোস্তাওফিক আহমেদ শামিম।
ঘর পাওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে একটি ঘর পেলাম, এজন্য আমাকে খুব ভালো লাগতেছে। এখন আমি শান্তিতে আমার ঘরে মরতে পারবো।
এ বিষয় খানসামা উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাওফিক আহমদ শামিম বলেন, আমি মনে করি এসব অসহায় মানুষের পাশের সবার দাঁড়ানো উচিত। আর আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন ভাইকে অনুসরণ করে চলছি, ওনি যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে আমরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
ঘর তৈরি সময় উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি শচীন্দ্রনাথ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, মোওয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক, মোজাহুল ইসলাম বাবুল, ইউপি সদস্যা নুর আয়না বেগম নুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, রাকেশ গুহুসহ সর্বস্তরের নেতা-কর্মীবৃন্দ।-পূর্বপশ্চিম।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস