দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ ও কাহারোল) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে বিএনপি। আর বিএনপির একমাত্র প্রার্থী বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মনজুরুল ইসলাম মনজু বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আবু হুসাইন বিপু এবং বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা। অন্যদিকে অনেকটা নীরবে প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও বীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাওলানা মো. হানিফ।
এ ছাড়া প্রার্থী হতে গণসংযোগ চালাচ্ছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম। দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে দলের নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।
এ আসনটি নৌকার ঘাঁটি বলে পরিচিত। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বলে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছেন। মনোরঞ্জন শীল গোপাল টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আর বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ জাকারিয়া জাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সোচ্চার থাকেন। সব সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন তিনি।
দলের দুর্দিনের বন্ধু, স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, সৎ ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও শিল্পপতি মনজুর ইসলাম মনজু আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বীরগঞ্জ-কাহারোলে তার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের জনসমর্থন নিয়ে তিনি এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের কাছে দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি। মানুষকে সহযোগিতার ব্যাপারে তিনি সব সময় অগ্রণী ভূমিকাও পালন করে থাকেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের পক্ষে জামায়াত নেতা মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে হেরে যান। জামায়াত চারদলীয় জোটের আওতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আবারও তাকেই প্রার্থী করা হবে বলে জানা গেছে। -বিডি প্রতিদিন
এমজমিন/এসবি