দিনাজপুর : দিনাজপুর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের সময় টিভি দেখছিল তার বোনের ছেলে।
রোববার রাত ১১টার দিকে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম রানী মনিরা (৩৮)। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিতলাই গ্রামের আজম আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন রানী মনিরা। রোববার বোনের স্বামী রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বোচাগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয় মারা যায়। এ কারণে সকালে বোন রানী মনিরা ও ছেলে পাবনকে বাসায় রেখে স্বামী-স্ত্রী বোচাগঞ্জে যায়।
রাতে ১১টার দিকে ছেলে পাবন মোবাইলে তার মা-বাবাকে খবর দেয় খালা রানী মনিরাকে কে বা কারা হত্যা করে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে রাতেই বাসায় ফিরে তারা দেখে রানী মনিরার মরদেহ পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহত রানী মনিরার বোনের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র পাবন জানায়, রাত ৯টার দিকে দুইজন অপরিচিত লোক বাসায় আসে। তারা খালার সঙ্গে কথা বলছিল। ওই দুই লোক খালার পরিচিত ভেবে আমি আমার রুমে চলে যাই। রুমে গিয়ে আমি টিভি দেখছিলাম। রাত ১১টার দিকে খালার ঘর থেকে শব্দ শুনতে পাই। এ সময় চিৎকার করি। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারা এসে দেখে বাথরুমের দরজার সামনে খালা রানী মনিরার মরদেহ পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই নুরেজা বলেন, নিহত নারীর গলা, হাতেসহ শরীরের অনেক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি আমরা।