দিনাজপুর: পুরাতন কাপড়ের পকেটে মিলছে হাজার হাজার ডলার! বিদেশ থেকে আসা শীতের পুরাতন কাপড়ের মধ্যে যে বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়- তার প্রমাণ মিলেছে দিনাজপুর। দিনাজপুরে গত কয়েকদিন ধরেই পুরাতন কাপড় থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছেন হকার ব্যবসায়ীরা।
দুই দিন আগে ৩ হাজার ডলার পেয়েছেন এক হকার। আর রোববার ১৯ হাজার ৪শ’ চায়নার ইউয়ান পেয়েছেন আরেক হকার।
রোববার সকালে শহরের কাচারী বাজারের সামনে বসা পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী হীরা (২৮) নিমতলাস্থ পাইকারী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলীর গোডাউন থেকে একটি গাইট (বান্ডিল) শীতের কাপড় আনেন বিক্রি করার জন্য। গাইট খুলে জ্যাকেটের পকেট খোঁজার সময় একটি খাম পান।
পরে খামটি থেকে বেশ কয়েকটি চায়নার মুদ্রা পান এবং গুনে দেখেন সেখানে চায়না ১৯ হাজার ৪শ’ মুদ্রা আছে। পুরাতন কাপড় ব্যবসার লভ্যাংশের পাশাপাশি বাড়তি এই পাওনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠে তার মুখ।
হীরা জানায়, পুরাতন কাপড়ের পকেট থেকে সোনা, টাকা, ডলারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া যায়, এটি তিনি শুনেছেন। আর তার এই শোনা থেকেই প্রতিদিন যেসব পুরাতন কাপড়ের বান্ডিল খুলেন তার সবগুলোর পকেট খোঁজ করে দেখেন। রোববার সকালে এমন খোজার সময় একটি জ্যাকেটের পকেট থেকে এসব মুদ্রা পান তিনি।
এতে তিনি আনন্দিত হয়ে বলেন, ‘আল্লাহ মুখ তুলে চেয়েছেন। কাপড়ের যে ব্যবসা করি তা দিয়ে কোনমতে সংসারের ভরন-পোষন করি। এই টাকা পেয়ে তার সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আসবে’।
শুধু হীরাই নয়, গত কয়েকদিন আগে একই এলাকার ব্যবসায়ী আশরাফ আলীও একটি পুরাতন জ্যাকেট থেকে ৩ হাজার ডলার পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছু টাকা পেয়েছি।
পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অনেকেই এসব পুরাতন কাপড় থেকে কিছু পেলেও সেটি খোলাসা করেন না। এর আগে কাচারী বাজারের ইসরাইল নামে এক ব্যবসায়ী স্বর্ণের একটি লকেট পেয়েছিলেন।
শহরের নিমতলা এলাকার পুরাতন কাপড়ের পাইকারী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী জানান, আমরা ঢাকা থেকে বান্ডিল বা গাইট নিয়ে আসি। এসব বান্ডিল খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। তারা এসব বান্ডিল খুলে কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র পান, এটি সবারই জানা। কোনো অজানা ভয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা এটি সবাইকে জানাতেও চান না। তবে এসব মুদ্রা ভাঙ্গাতে গেলে সবসময় উচিৎ মূল্য পাওয়া যায় না বলে জানান তিনি।