দিনাজপুর থেকে : গভীর রাতে নিজের সরকারি বাসভবনে হা'মলার শি'কার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে গু'রুত'র অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি হেলিকপ্টার ওয়াহিদা খানমকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ''তাকে ঢাকায় এনে প্রথমে সিএমএইচে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমাদের এখানে আনার কথা রয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি।'' রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়হাব জানান, বেলা ১২টা ৪৭ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি হেলিকপ্টার ওয়াহিদা খানমকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তিনি বলেন, ''তার অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার উপর হা'মলার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযো'দ্ধা ওমর আলীকে কু'পিয়ে গু'রুত'র জ'খ'ম করেছে দু'র্বৃ'ত্তরা।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভে'ঙে দু'র্বৃ'ত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দু'র্বৃ'ত্তরা তাকে সরাসরি ধা'রা'লো অ'স্ত্র দিয়ে মাথায় আ'ঘা'ত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দু'র্বৃ'ত্তরা তাকেও আ'ঘা'ত করে পা'লিয়ে যায়।
রাতেই র'ক্তা'ক্ত ইউএনওকে উ'দ্ধা'র করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘ'টনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘ'টনাস্থ'ল উপস্থিত হন। ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিক কী কারণে এ ঘ'টনা ঘ'টেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদ'ন্ত করা হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম এ ত'থ্য নি'শ্চি'ত করে জানান, ঘ'টনাস্থ'লে গিয়ে বিস্তারিত জানার পর এ বিষয়ে জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে বাবা ওমর আলী থাকতেন।