দিনাজপুর থেকে : পরিবারের কাছে বিয়ের বায়না ধরেন ১৭ বছর বয়সী সোহেল রানা। অল্পবয়সে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান বাবা। এতে অভিমান করে রাতে নিজের গায়ের শার্ট দিয়ে গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সোহেল।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে। সোহেল রানা ওই এলাকার দবিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। বিষয়টি স্থানীয় অমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল সরকার নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল সরকার জানান, সোহেল রানা বেশ কয়েক মাস ধরে পরিবারের কাছে বিয়ের জন্য বায়না ধরেন। বয়স অল্প হওয়ায় তাকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান পরিবারের লোকজন। পরে বুধবার রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ করতে থাকে। খোঁজার এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে পূর্ব পাশে জামগাছে ডালে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
পরে রাতেই চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার বলেন, মূলত বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। মৃত সোহেল রানার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।