দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরের চিবুক মন্দিরের মুর্তি ভাঙচুরের ঘটনার সাঙ্গে জড়িত ও উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, সংসদে বিএনপির সদস্যরা দুর্নীতিতে মিঠু চক্রের কথা বলেছেন। এই মিঠু চক্রের উত্থান হয়েছেছিলো তাদের আমলে। তারেক রহমান, কোকোর অর্থ পাচারের কথা সবাই জানে। বিএনপির পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খান, বিএনপির নেতা সাকা চৌধুরী বিদেশে অর্থ পাচার করছিলো। যুদ্ধাপরাধের যার মৃতুদণ্ড কার্যকর হযেছে সেই সাকা চৌধুরীর সিঙ্গাপুরে আট হাজার কোটি টাকা আছে।
একথা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে জানিয়েছিলো। তারেক কোকোর পাচার করা ২১ হাজার কোটি টাকা এই সরকার বিদেশে থেকে ফিরিয়ে এনেছে। হংককে বিএনপির পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খানের ২০ লাখ শেয়ার ও ২০ খাল ডলার আছে। মোর্শেদ খান প্লেন ভাড়া করে লন্ডনে চলে গেছে। তারেক রহমান লন্ডনে বিলাশ বহুল বাড়িতে থাকে। তার সেখানে কোনো বৈধ আয় নেই। সে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত। এই সরকার দুনীতির সঙ্গে জড়িত মিঠু চক্রকে চিহ্নিত করে সাজা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি দিনাজপুরের চিবুক মন্দিরের কয়েকটি মুর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে এদেরকে উস্কে দিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে কার্যক্রম চালাতে আরও লোকবল বাড়াতে হবে। এই কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।