ফজিবর রহমান বাবু : দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মেই একই কথা বলে যে কেউ যদি অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয় সে নিজের ধর্মকে ভালোবাসে না। আজকে মূর্খ কিছু মানুষ যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা কারি যারা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করে।
তিনি বলেন, এই জ্ঞানপাপীরা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। কারণ এরাই বারবার ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। ৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যেমন কথা বলা হয়েছিল যে নৌকায় ভোট দিয়েছিল যারা মুক্তিযুদ্ধ করছে তারা জারজ সন্তান। মনে করি এই অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তারা একাত্তরের রাজাকার আলবদর আলশামসদের উত্তরসূরি।
এমপি গোপাল বলেন, দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সকল ধর্মের সম্প্রতিই হচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য। যা বিগত হাজার বছর যাবত এদেশের মানুষ ধরে রেখেছে। এই সম্প্রতি বিনষ্টের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এর মধ্যে ভাস্কর্য নিয়ে একটি মহল বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছিল এবং যে মিথ্যাচার এর প্রেক্ষিতে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে। আমি মনে করি যে আজকে চিরিরবন্দরে মন্দিরগুলোতে যে সিরিজ হামলা, এটি ভিন্ন কোনো বিষয় নয়।
তিনি বলেন, যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারাই এই হামলার সাথে জড়িত। এই দুষ্টু দমন করার জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মুক্তিযুদ্ধে আমরা যেভাবে পড়েছিলাম একইভাবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে আরেকটি যুদ্ধ আমাদের করতে হবে সর্বশেষ একটি যুদ্ধ করতে হবে সেটা যে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের এখানে আরেকবার অবস্থিত হবে আমরা বিশ্বাস করি জল্প সময়ের মধ্যে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত হবেন।
৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে চিরিরবন্দর চিবুক মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এমপি গোপাল এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।