বাড়ির সামনে বেশ কয়েক যুবকের আনাগোনা। কেউ দরজায় আবার কেউ ভেতরে। বেশ কিছু দিন এমন দৃশ্য দেখে ওই বাড়িটির বিষয়ে বিশেষভাবে খোঁজ নেয় বিজিবি। পরে তারা জানতে পারে, বাড়ির সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এমন অভিযোগে গতকাল বুধবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কাটলা বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে ওই বাড়ির মালিক পালিয়ে গেলেও রান্নাঘরের মেঝেতে গর্ত করে করে সেখানে রাখা বেশ কিছু ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তারা।
এটি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা কাটলা বাজারের টেম্পুস্ট্যান্ডের এক মাদক ব্যবসায়ির বাড়ির। বাড়ির মালিকের নাম হামিদুর রহমান। তিনি ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। বুধবার রাতে স্থানীয় কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, বাজার বণিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে হামিদুলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) কাটলা বিশেষ ক্যাম্পের দল।
কাটলা বিশেষ ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নায়েব সুবেদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে হামিদুলের বাড়িতে মাদক রেখে ব্যবসা করা হচ্ছে এমন খবর বিজিবি’র কাছে আসে। নির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে সেখানে স্থানীয় প্রসাশন নিয়ে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, অভিযানে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফেনসিডিলের খালি বোতল পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হলো, অভিযান চলাকালে রান্নাঘরের মেঝেতে একটি চালভর্তি ড্রামের নিচে একটি গর্তের সন্ধান মেলে। সেই গর্তে ফেনসিডিলের বোতল লুকিয়ে রেখে বিক্রি করতেন তারা। শুধু তাই নয়, সেখানে লুকিয়ে রাখা ফেনসিডিলের সঙ্গে একটি পবিত্র কোরআন শরীফও পায় বিজিবি।
স্থানীয় কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে বিজিবির সদস্যরা হামিদুলের বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১১ বোতল ফেনসিডিলভর্তি ও ২৮টি খালি বোতল এবং মাদক বিক্রয়ের ৪১৬৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জানতে চাইলে ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফ উল্লাহ আবেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিরামপুর সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারিদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী উভয়কে আসামি করে মামলা দেওয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।-কালের কণ্ঠ