শুক্রবার, ০৪ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:০৫:২৫

ড্রাইভারের একটা রং টার্নেই শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ!

ড্রাইভারের একটা রং টার্নেই শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এক একটা ছোট্ট ভুলের ফলেই ঘটেছিল এইসব ঘটনা। যা পাল্টে দিয়েছিল বিশ্বের ইতিহাসকে। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি ঘটনা।

১. এক চালকের রং টার্নেই শুরু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ:
আমরা সবাই জানি অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। হত্যাকারী ছিলেন অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় নাগরিক, কিন্তু জাতিতে বসনীয় সার্ব। সে সময় বসনিয়া ছিলো সাম্রাজ্যটির অংশ। জানা যায়, যেদিন এই ফার্দিনান্দ ও তাঁর স্ত্রী সোফিকে খুন করা হয়েছিল সেদিনই এক তাদেরকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল আরও একবার। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। এরপর তারা হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় এক বোমা বিস্ফোরণে আক্রান্তরা ছিল ওই হাসপাতালে। ভিড়ের মধ্যে ড্রাইভার একটা রং র্টান নিয়েছিল। গাড়ি ব্যাক করছে দেখে কাল বিলম্ব না করে প্রিন্সেপ উঠে দাঁড়িয়ে পিস্তল বের করে মাত্র ৫ ফুট দূর থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে। আর এই একটা রং টার্ন থেকেই সূত্রপাত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের।

২. হিমশৈল নয়, একটা চাবির জন্যই তলিয়ে গিয়েছিল টাইটানিক:
সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা একটা বরফের চাঁইতে ধাক্কা লেগেই তলিয়ে গিয়েছিল আস্ত টাইটানিক। একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু, এটাই টাইটানিক ডুবের যাওয়ার পিছনে আসল কারণ নয়। সাউথহ্যাম্পটন থেকে টাইটানিক যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন থেকেই জাহাজে নাবিকরা খোঁজ-খোঁজ লাগিয়ে দেন। পাওয়া যাচ্ছিল না একটি চাবি। কিন্তু প্রাথমিক খোঁজখবরের পরে তাঁরা অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন জাহাজের কাজে। ফলে চাবির খোঁজে একটু ঢিলে আসে। কীসের চাবি হারিয়েছিল? একটি লকারের। বিভিন্ন সূত্রে যা জানা যায়, লকারটিতে যা রাখা ছিল, তা কাজে লাগবে বলে মনেই করেননি নাবিকদের একাংশ। তাঁরা সম্ভবত ভেবেছিলেন, ঐতিহাসিক যাত্রায় যাত্রী এবং জাহাজের দায়িত্ব সামলানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ফলে চাবি খোঁজার কাজে ঢিলে পড়ে। এর পরে আর সেই চাবি তাঁরা খুঁজে পাননি। সেই লকারে ছিল বাইনোকুলার। যা থাকলে অনেক আগেই চোখে পড়ত হিমশৈল। কিন্তু বাইনোকুলারের অভাবে তা দেখতে পাননি নজরদারির দায়িত্বে থাকা নাবিকরা। হিমশৈল যখন সামনে চলে আসে, তখন হাতে আর প্রায় সময় ছিল না।

৩. একটা বোঝার ভুলেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল হিরোশিমা-নাগাসাকি:
আমেরিকানরা জাপানের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেছিল। আর তার উত্তরে একটাই শব্দ খরচ করেছিল তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী কান্তারো সুজুকি। আর সেই শব্দ হল ‘mokusatsu’. যার মানে করলে দাঁড়ায়, কোনও মন্তব্য করা যাবে না। আবার এই একই শব্দের অর্থ হল ‘ঘুরিয়ে এড়িয়ে যাওয়া’। আর এখানেই বুঝতে ভুল হয়েছিল। আর এর এক সপ্তাহের মধ্যেই হামলা হয় হিরোশিমাতে।-কলকাতা২৪
৪ নভেম্বর, ২০১৬/ এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে