রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:৫২:৪৮

সেই সময় পৃথিবীটা অন্ধকার ছিল টানা ২ বছর!

সেই সময় পৃথিবীটা অন্ধকার ছিল টানা ২ বছর!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এ কথা সবাই জানেন যে, ডাইনোসরের মতো দানবগুলোর ইতি ঘটেছিল গ্রহাণুর আঘাতে। আজ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ৬ মাইল চওড়া এক গ্রহাণু ম্যাক্সিকোর উপকূলে আঘাত হেনেছিল।

সেই আঘাতে মুহূর্তের মধ্যে মহাক্ষমতাধর ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি আর সুনামি ফুঁসে উঠেছিল। কেবল এই ঘটনাতেই গোটা ডাইনোসর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর অন্যান্য প্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা হিসেব করা তো অসম্ভব।  

বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল 'পিনাস'-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানী সেই গ্রহাণুর আঘাতের প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করেছেন কম্পিউটারের মাধ্যমে। সেই সময়ের জলবায়ুর পরিবর্তন দেখেছেন তারা। এক দুঃস্বপ্নের মতো ফলাফল বেরিয়ে এসেছে। গ্রহাণুর আঘাতে এই গ্রহ একটানা দুই বছরের মতো অন্ধকারে নিজজ্জিত ছিল।   সেই সময় পৃথিবীটাও অন্ধকার ছিল টানা ২ বছর!

এক বিবৃতিতে গবেষক ওয়েন টুন বলেন, ওই ঘটনায় পৃথিবীর পাথর রীতিমতো বাষ্পীভূত হয়ে যায়। সেই পাথর এক সময় আকাশ থেকে বৃষ্টি মতো ঝরতে থাকে।
এ দুনিয়ার বায়ুমণ্ডলে ১৫ শো কোটি বার রীতিমতো পাথরের গুলিবর্ষণ ঘটতে থাকে।

তখন সূর্যটা ঢেকে গিয়েছিল। অমাবশ্যার রাতের মতো হয়েছিল দিন। এ ঘটনায় উদ্ভিদের ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১৮ মাসের জন্যে।   অন্ধকার সেই পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ প্রাণ ধ্বংস হয়ে যায়। যারা প্রাণ বাঁচাতে তাৎক্ষণিকভাবে গভীর সাগরে বা মাটির নিচে পালাতে পারতো তারাও সুযোগ পায়নি।  

এদিকে, আলোর অভাবে সাইটোপ্লাঙ্কটনের মৃত্যু ঘটে। এটাই সাগরের খাদ্যচক্রের মূল উপাদান। সেই সঙ্গে গ্লোবালি স্থলভাগের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াম কমে যায়। সিকার জানায়, পৃথিভীর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হবে ৭ বছর সময় নেয়।

এতে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অতিবেগুনী রশ্মি আটকানোর ক্ষমতা কমে যায়।   বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের কম্পিউটারের মাধ্যমে একইভাবে নিউক্লিয়ার বোমের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।    ---ফক্স নিউজ

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে