বুধবার, ০৪ মে, ২০১৬, ০৩:০১:৫৩

অর্থাভাবে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হওয়া ছেলেটি গড়লেন বিশ্বরেকর্ড

অর্থাভাবে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হওয়া ছেলেটি গড়লেন বিশ্বরেকর্ড

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এক সময়ে অর্থের অভাবে অষ্টম শ্রেণির পরে পড়াশোনা করতে পারেননি। ঠিকমত খেতেও পারতেন না। আর তিনিই কিনা কোটি টাকা দামের সোনার জামা পড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম তুলে ফেললেন। খবর এবেলার।

ভারতের মহারাষ্ট্রের পঙ্কজ পারেখকে তার পরিচিতরা অনেকেই ‘সোনার জামা পড়া মানুষ’ নামে ডাকেন। কারণ, সোনার প্রতি তার প্রেম এবং প্রাচুর্য্যের কাছে বাপি লাহিড়িও লজ্জা পাবেন।

প্রকাশ পারেখ মহারাষ্ট্রের নাম করা একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দেওয়া শংসাপত্র অনুযায়ী, তার কাছেই এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বেশি দামি জামা রয়েছে। ২০১৪ সালের ১ অগস্ট অনুযায়ী যার বাজারমূল্য ৯৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৯ টাকা। যদিও জামাটির বর্তমান বাজারমূল্য এখন এক কোটি তিরিশ লক্ষ টাকা। জামাটির ওজন ৪ কেজি ১০ গ্রাম।

দু’বছর আগে নিজের ৪৫ তম জন্মদিনে এই সোনার জামাটি বানিয়েছিলেন পঙ্কজ। বাছাই করা বিশজন শিল্পী দু’মাস ধরে, প্রায় ৩,২০০ ঘণ্টার পরিশ্রমে নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে এই জামাটি তৈরি করেছিলেন। জামাটির প্রতিটি সুতোর সঙ্গে সোনার সরু তার সেলাই করা রয়েছে। তবে জামার দাম মিটিয়ে তিনি পাকা রসিদ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পঙ্কজ।

শুধু এই সোনার জামাই নয়, পঙ্কজের গলায় মোটা সোনার হার, আঙুলে কয়েনের সাইজের একাধিক আংটি, হাতে সোনার ঘড়ি রয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর মোবাইলের কভার এবং চশমার ফ্রেমও সোনার। সব মিলিয়ে তাঁর গায়ে থাকা সোনার সম্পত্তির ওজনই দশ কেজি।

পঙ্কজ পড়াশোনা শেষ করতে না পারলেও নিজের জামা-কাপড়ের ব্যবসার দৌলতে এখন মুম্বাইয়ের নামজাদা ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে কংগ্রেসের হয়ে মহারাষ্ট্রের ইয়োলা শহরের ডেপুটি মেয়রও তিনি। রাস্তায় যখন তিনি বেরোন, স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে লোকজন চেয়ে থাকেন। তবে নিরাপত্তার জন্য নিজের কাছে একটি রিভলবার রাখেন।

এছাড়াও তার সর্বক্ষণের সঙ্গী, দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী কাউকেই তার ধারেকাছে ঘেঁষতে দেন না। স্কুলছুট পঙ্কজের নিজেরও মাঝেমধ্যে এই সমস্ত কিছু অবিশ্বাস্য ঠেকে। গিনেস বুকে নাম তোলার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের দরবারে নিজের গ্রামের নাম পৌঁছে দিতে পেরেই তিনি গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন পঙ্কজ।

৪ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে