শনিবার, ০৭ মে, ২০১৬, ০৯:৫৫:২৫

লাখপতি কয়েক তারকা ভিক্ষুক, শুনলে চমকে যাবেন!

 লাখপতি কয়েক তারকা ভিক্ষুক, শুনলে চমকে যাবেন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জীবিকার জন্য নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে ভিক্ষুকরা।  কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণ এতটায় বিশাল যে, শুনলে চমকে যাবেন।  

অনেকেই টাকা রোজগারের জন্য ব্যবসা করেন, আাবার কেউ করেন চাকরি, কেউবা আবার ভিন্ন কোনো পেশা বেছে নেন।  আবার স্রেফ বেঁচে থাকার তাগিদে অক্ষম মানুষরা ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেন।

তবে এমনো অনেকেই রয়েছেন যারা ভিক্ষাকে শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের আয় বড় বড় ব্যবসায়ীর থেকেও বেশি।  দিনের বেলা শতছিন্ন জামা পরে, তোবড়ানো থালা হাতে দুয়ারে দুয়ারে হাত পাতেন।

রাতে শুতে যান বিলাসবহুল নিজস্ব ফ্ল্যাটে।  ভারতের এমন কিছু লাখপতি ভিক্ষুকের খোঁজ পাওয়া গেছে, যাদের কথা শুনলে আপনিও চমকে যাবেন।

সারভাতিয়া দেবী :

পাটনায় অশোক সিনেমা হলের পেছনে ভিক্ষা করেন সারভাতিয়া দেবী।  তিনিই ভারতের তৃতীয় ধনী ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিত।  বছরে ৩৬ হাজার রুপি এলআইসি প্রিমিয়াম দেন সারভাতিয়া দেবী!

ভরত জৈন :

ভারতের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক ভরত জৈন।  ৪৯ বছর বয়সের ভরত জৈনের মুম্বাইয়ের প্যারেল এলাকায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট।  প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লাখ রুপি। ভ রত জৈনের মাসিক আয় ৬০ হাজার রুপির মতো।

শম্ভূজি:

ভিক্ষা করার জন্য মুম্বাইয়ের সুবারবান এলাকা সবচেয়ে পছন্দ তার।  সেই শম্ভূজির প্রতিদিন রোজগার প্রায় ১ হাজার রুপি।  শোলাপুরে রয়েছে নিজস্ব বাড়ি।  এ পেশা তার খুবই ভালো লাগে।  কারণ এখানে কোনো ইনভেস্টমেন্ট করার প্রয়োজন পড়ে না তার।

মালানা :

ভারতের ধনী ভিক্ষুকদের মধ্যে ষষ্ঠতম স্থানে তিনি। মালানার রয়েছে একটি অটোরিকশা।  প্রতিদিন সকালে অটো চালিয়ে ভিক্ষার জন্য বের হন।   পোশাক পরিবর্তন করে ছেঁড়া পোশাক পরে ভিক্ষা করতে বসেন মালানা।  ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ডিউটি তার।  ভিক্ষা করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মালানা!

লক্ষ্মীদেবী :

লক্ষ্মীদেবীর ভিক্ষা জীবন শুরু হয় কোলকাতা হতে। পোলিওতে দু’পা-ই অক্ষম তার।  ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে রয়েছেন লক্ষ্মীদেবী।  বয়স মাত্র ১৬ থেকেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু তার।  ৫০ বছরে লক্ষ্মীদেবীর বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স হয়েছে।  ব্যাংক হতে তাকে ক্রেডিট কার্ডও দেয়া হয়েছে।

কৃষ্ণ কুমার গিটে :

মুম্বইয়ের চারনি রোড এলাকায় বসবাস কৃষ্ণ কুমারের।  সেখানে গেলে দেখাও পেয়ে যেতে পারেন আপনি।  ভিক্ষাবৃত্তি করে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১ হাজার ৫০০ রুপি রোজগার করেন তিনি।  বসবাস করেন নাল্লাসোপারার একটি অ্যাপার্টমেন্টে।
৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে