এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানঝির কথা মনে না থাকলে জানুন। নওয়াজউদ্দিন যার ভূমিকায় অভিনয় করে পর্দা কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। মানঝির স্ত্রী যেমন পাহাড় টপকে পানি আনতে গিয়ে পড়ে মরে যান।
মৃত্যুর প্রতিশোধ তুলতে মানঝি পাহাড় কেটে একাই রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মানঝির পাগল প্রমাণ ভালোবাসার কাহিনী নিয়েই সিনেমা হয়।
এবার কিছুটা সেরকমই এক ঘটনা ঘটল ২০১৬ সালের গরমে। তবে ব্যাপারটা কিছুটা অন্যরকম। মানঝি পাহাড় কেটেছিলেন স্ত্রীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। আর এখানে ঘটল স্ত্রীর অপমানের বদলা নিতে নিজেই কুয়ো খুঁড়ে ফেললেন।
মানঝি পাহাড় কেটেছিল যাতে আর কেউ ওভাবে পানি আনতে গিয়ে মারা না যায়। সঙ্গে পাহাড়কে শিক্ষা দেয়া যায়। আর এখানে বাপুরাও নামে ওই ব্যক্তি কঠিন এক মাটিকে চটিয়ে কুয়ো খুঁড়লেন যাতে তার স্ত্রীকে পানি নেয়ার জন্য অন্য কারো বাড়িতে যেতে না হয়।
মহারাষ্ট্রের কলাম্বেশ্বর গ্রামের বাপুরাও নামে ওই ব্যক্তির স্ত্রী সঙ্গীতা মাস দুয়ের আগে একদিন এক প্রতিবেশীর কুয়ো থেকে পানি আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কুয়োর মালিক তাকে পানি নিতে বারণ করে দেন।
সঙ্গীতা বাড়ি ফিরে এসে এ অপমানের কথা জানান স্বামীকে। এরপরেই বাপুরাও ঠিক করে নেন, নিজেই কুয়ো খুঁড়ে ফেলবেন। সেইমত কাজ শুরু করেন। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে খুঁড়ে ৪০ দিনের মধ্যেই পানি বের করে ফেলেন।
পুরো কুয়ায় পানি আনতে কারো সাহায্য নেননি। একাই অপমানের বদলা নিয়েছেন বাপুরাও।
রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান বাপুরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাপুরার জয়গান শুরু হয়েছে।
বলিউড অভিনেতা নানা পটেকর ফোন করে দেখা করবেন বলেছেন। বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা থেকে অর্থ সাহায্য আসতে শুরু করেছে। বাপুরাওয়ের কুয়ো খোঁড়ার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।
বাপুরা বলছেন, তিনি জানতেন পরিশ্রম করলে, আর ভালোবাসা থাকলে এখান থেকে পানি বের হবেই। স্বামী তার অপমানের বদলা নেয়ায় সঙ্গীতা দারুন খুশি। এখন বাপুরাও ও তার স্ত্রী মিলেস কুয়োটিকে আরো গভীর এবং চওড়া করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম