শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬, ০৮:৪৩:১৬

বজ্রপাত সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য, যা আপনি এর আগে হয়তো শুনেননি!

বজ্রপাত সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য, যা আপনি এর আগে হয়তো শুনেননি!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রকৃতির অনেক রকমের রূপই আমাদের সমনে ফুটে উঠে। সেই রূপগুলোর মধ্যে যেমন অনেক ভালো কিছু রয়েছে তেমনি কিছু খারাপও রয়েছে। প্রকৃতির তেমনিই একটি রুদ্র রূপ হলো বজ্রপাত বা বাজ। প্রাচীনকালের মানুষেরা এই বাজকে মনে করতো সৃষ্টিকর্তার রাগের বহিপ্রকাশ! আর এজন্য প্রকৃতি দেবীকে সন্তুষ্ট করতে বড় ধরণের আয়োজন করে চলতো পূজা আর্চনা। তবে এটি পৃথিবী সৃষ্টি মুহূর্ত থেকে ঘটে আসা একটি ঘটনা।

সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলোতেও যেখানে মেঘ আছে বলে জানা গিয়েছে সেখানেও ভয়াবজ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীর বজ্রপাত সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক :

** আপনি যে মুহূর্তে এই প্রতিবেদনটি পড়ছেন পড়ছেন তখনই পৃথিবীতে দুই হাজারেরও বেশি বজ্রপাত ঘটে গেছে। প্রত্যেকটি বজ্র আবার সেকেন্ডে শতাধিক আলোর ঝলকানি তৈরি করছে। তার মানে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি বিদ্যুৎ চমকানোর ঘটনা ঘটছে এই পৃথিবীতে।

** বজ্রপাতের প্রতিটি আলোর ঝলকানির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ মাইল, তবে প্রস্থে মাত্র এক সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।

** বজ্রপাতের এক একটি আলোর ঝলকানি ১০০ থেকে ১০০০ কোটি জুল শক্তি উৎপাদন করে যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমাণ হয় ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার অ্যাম্পিয়ার।

** একটিমাত্র বজ্র এক টোন টিএনটি সমপরিমাণ শক্তি নির্গত করে।

** একটি বজ্রপাত মূলত ৩ থেকে ১২টি আলাদা বিদ্যুৎচমকানির (আঁকাবাঁকা আলোর রেখা) সমন্বয়। এসব ঝলকানির এক সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

** বজ্রপাতের জন্য শুধু যা প্রয়োজন তা হল বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য সামান্য একটু বাহক বা কন্ডাক্টর। কিন্তু আমরা জানি বাতাস বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাহলে বজ্রপাত কিভাবে হবে?
১৩ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে