শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬, ১২:৫৪:০৯

কুমিরের সঙ্গে তিন ঘণ্টার লড়াই, অবশেষে যা হলো!

কুমিরের সঙ্গে তিন ঘণ্টার লড়াই, অবশেষে যা হলো!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিপদে পড়লে অনেকেই মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন না। তারা বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার চরম বিপদের মুখেও সাহস হারান না। প্রয়োজনে আশেপাশের যেকোনো কিছু ব্যবহার করেই বিপদ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। পানিতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে এমন সাহস দেখানোটা কঠিনই বটে। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিও করেছেন ৭২ বছর বয়সী রে ম্যাককাম্বার। নৌকা উলটে গিয়ে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করার সময় হাতের কাছে থাকা নাট-বল্টু খোলার যন্ত্রকেই বেছে নিয়েছেন অস্ত্র হিসেবে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে লড়াই অব্যাহত রেখে শেষ পর্যন্ত প্রাণেও বেঁচেছেন। এবিসি নিউজের এক খবরে ম্যাককাম্বারের এমন সাহসী লড়াইয়ের গল্প উঠে এসেছে।

তাতে বলা হয়েছে, রে ম্যাককাম্বার ও তার ৭৫ বছর বয়সী বন্ধু নোয়েল র‌্যমেজ ডারউইনের কাছে সল্টওয়াটার আর্মে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। তারা দুজনেই অস্ট্রেলিয়ার ভিকটোরিয়ার বেনডিগোর অধিবাসী। ৩ মিটার লম্বা একটি নৌকায় করে কাঁকড়া ধরছিলেন তারা। কাঁকড়ার ফাঁদ যখন তারা নৌকায় তোলার চেষ্টা করছিলেন, তখনই একটি কুমির আক্রমণ করে বসে তাদের নৌকায়। কুমিরের ধাক্কায় নৌকা উলটেও যায়। তাতে নৌকার নিচে আটকা পড়েন নোয়েল। ক্রমেই ডুবেও যান তিনি।


কিন্তু রে ম্যাককাম্বার পানিতে ডুবে যাননি। তিনি কোনোভাবে নৌকার ওপরে উঠতে সমর্থ হন। সেখান থেকেই নৌকাকে নিরাপদ একটি আশ্রয়ে ভিড়ানোর জন্য কুমিরের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন তিনি। নৌকায় উঠে হাতের কাছে তিনি পান নাট-বল্টু খোলার যন্ত্র। সেটি দিয়েই কুমিরকে আক্রমণ করেন তিনি। ম্যাককাম্বার শেষ পর্যন্ত তিন ঘণ্টার লড়াইয়ের পর কুমিরকে পরাস্ত করে নৌকা ভিড়াতে সমর্থ হন লেকের এক ধারের জঙ্গলে। কিন্তু সেখানেও কাদায় আটকে যান তিনি। জোয়ার শুরু হলে তিনি পরে নৌকাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন তিনি। পরে পেশাদার কয়েকজন কাঁকড়াশিকারি তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে। তাদের সহায়তা নিয়েই শেষ পর্যন্ত কেয়ারফ্লাইট নামের একটি চিকিৎসা-উদ্ধার দাতব্য সংস্থাকে খবর দেয়া হয়।

কেয়ারফ্লাইটের এক ডাক্তার ও নার্স এসে ম্যাককাম্বারকে উদ্ধার করেন এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কুমিরের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে ডারউইন শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। কুমিরের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতলেও শেষ পর্যন্ত তার এই বীরত্ব বাঁচাতে পারেনি তার প্রিয় বন্ধু নোয়েলকে। কিন্তু নিজের প্রাণটি তো বাঁচাতে পেরেছেন ম্যাককাম্বার। তার এমন সাহসিকতার গল্প নিশ্চয় অনুপ্রাণিত করবে অন্যদেরও।

২০ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে