এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ফটোশপে তো কত কিছুই না হয়! প্রযুত্তির সাহায্যে নিজের কল্পনাকে রূপ দেয়াটা এখন আমার-আপনার হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবেও এমন কিছু ছবি রয়েছে যা দেখে তাক লেগে যাবে। যা ফটোশপের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
১. ২০১০ সালে একটি পোশাকটি পরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাঞ্জা রুবিক। পোশাকের মাঝের অংশটি কালো রঙের হওয়ার দর্শকদের সামনে হাঁটার সময় অদ্ভুত ভ্রমের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পোশাকের ছবিটি রুচিসম্মত না হওয়ায় ওপরের ছবির সঙ্গে সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।
২. সালার দে ইউনি হলো সবচেয়ে বড় লবণাক্ত সমতল ভূমি। বলিভিয়ায় অবস্থিত এই সমতল ভূমি আসলে কয়েকটি লবণ হ্রদের এক সঙ্গে দিক পরিবর্তনের ফল। ১০,৫৮২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই সমতল ভূমির নিচে আজও হ্রদ রয়েছে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় লবণাক্ত সমতলভূমিতে সূর্যালোক প্রতিফলিত হওয়ার ফলে অনেকটা বৃহৎ আয়নার মতো দেখায়।
৩. ইংল্যান্ডের ব্রাডফোর্ডে একবার এই অদ্ভুত মেঘ দেখা গিয়েছিল। মেঘের এই রূপ আসলে লেন্টিকিউলার ক্লাউড নামে পরিচিত। দেখতে ঠিক যেন ভিন গ্রহের কোনো স্পেসশিপ।
৪. ভিয়েনার স্কনব্রান পার্কের গাছগুলোকে ভাল করে দেখুন। অপরূপ শোভা দেখে তাক লেগে যাওয়ার মতো। এমনকী বিস্ময় জাগবে দেখে যে, প্রতিটা গাছই আকারে, উচ্চতায় এমনকী গঠনে হুবহু এক। ওই অঞ্চলের জলবায়ুই এর কারণ।
৫. শিল্পীর ক্যানভাসে ফুটে ওঠা কোনো ছবি নয়, এই পাহাড়ি উপত্যকার অস্তিত্ব সত্যিই রয়েছে। চীনের ঝানগি প্রদেশের পর্বতমালা জুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন খনিজের সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়ার বিক্রিয়ার ফলে এই বৈচিত্রের জন্ম।
৬. রাশিয়ার ভলগোগ্রাড অঞ্চলে এক দুর্ঘটনায় পুড়ে গিয়েছিল এই টেলিফোন পোস্টটি। সেই অগ্নিকান্ডে অর্ধেকটা ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তার পর থেকে এই ভাবেই রয়েছে পোস্টটি। ঠিক যেন, ঝুলন্ত টেলিফোন পোস্ট।
৭. নাম হাউজম্যানিয়ান বিল্ডিং। তবে পর্যটকদের কাছে ‘মেল্টিং বিল্ডিং’ নামেই অধিক পরিচিত। বহুতলটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালে আপনারো মনে হবে, এখনই বোধহয় পুরোটাই গলে পড়বে। প্যারিসে অবস্থিত এই বহুতলটি।
৮. তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকায় সুইৎজারল্যান্ডে জলাশয় বরফে পরিণত হয়ে যায়। নিশ্চিন্তে যার উপর দিয়ে হাঁটাচলাও করতে পারবেন।
৯. শিল্পী নেইল দ্যসন-র এই ভাস্কর্যের নিদর্শন মিলবে নিউজিল্যান্ডের স্কাল্পচার পার্কে গেলেই। শুধুমাত্র কয়েকটি লোহার রডের সাহায্যে তিনি প্রকৃতির মধ্যেও কার্টুন সত্ত্বা ফুটিয়ে তুলেছেন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন বড় পর্দায় কোনো কার্টুন চলছে।
১০. মলদ্বীপে যারা গিয়েছেন তারা নিশ্চয় রাতে ঘুরে এসেছেন এই সমুদ্র সৈকতে। আর যারা জাননি, সময় বের করে নিয়ে জীবনে একবার অবশ্যই ঘুরে আসুন। এই সমুদ্র সৈকতের বিশেষত্ব কী? সূর্যাস্তের সঙ্গে এখানে সমুদ্রের পানিতে কে যেন অসংখ্য আলো জ্বেলে দিয়ে যায়। আসলে পানির অবস্থিত অসংখ্য বায়োলুমিনিসেন্ট প্ল্যাঙ্কটন এর কারণ।-আনন্দবাজার
২৯ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই