ফরিদপুরের সালথায় পুলিশের গুলি ও টিয়ার সেল বর্ষণের পর গভীর রাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় একজন হাফেজ নিহত হয়েছেন। ওই মাদরাসাছাত্র নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানিয়েছেন, হামলার সময় র্যাব ও পুলিশের আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সিআইডির ক্রামই টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় অংশ নিয়েও অনেকে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন যাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা হতে সারারাতের তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার সকালে সালথা উপজেলা সদরে যেয়ে দেখা গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভবনের বিভিন্ন সরকারি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উপজেলা ত্রাণের গুদাম ও কৃষি অফিস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনেও ভাংচুর করা হয়েছে। দুটি বিলাসবহুল সরকারি ও দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল হামলাকারীরা নিয়ে গেছে।
হামলার সময় নিহত ওই মাদরাসাছাত্রের নাম হাফেজ মো: জুবায়ের হোসেন (২২)। তিনি সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আশরাফ আলী মোল্যার বড় ছেলে। মাদারিপুর জেলার শিবচরের একটি মাদরাসা হতে হাফেজি সম্পন্ন করে হাফেজ জুবায়ের সেখানে চার জামাতে পড়াশুনা করছে। তারা তিন ভাই ও এক বোন।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফ আলী মোল্যা ক্ষেতে কৃষি কাজ ও মাদরাসা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। গতকাল রাতে জুবায়েরের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ির প্রাঙ্গণে হাফেজ জুবায়েরের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়।