ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বর্দী গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতের আঁধারে দুই পক্ষের দফায় দফায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গড়ায়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ১২টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের স্থানীয় ভাঙ্গা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বর্দী গ্রামের পিকুল মাস্টার ও পার্শ্ববর্তী রেজাউল করিমের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিকুল মাস্টারের পক্ষ নিয়ে খারদিয়া গ্রাম, হাজরাকান্দা গ্রাম ও রাজেশ্বর্দী গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউল করিমের বাড়িসহ আটটি বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিকুল মাস্টারসহ তাদের পক্ষের লোকদের আসামি করে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করে। মামলার পর পিকুল মাস্টারের লোকজন এলাকাছাড়া হয়ে গেলে রাতে রেজাউল করিমের লোকজন পিকুল মাস্টারের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। উভয় গ্রুপের ১২টি বাড়িতেই ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এসময় দুর্বৃত্তরা রেজাউল করিমের ও পিকুল মাস্টারের বাড়ির দামি দামি আসবাবপত্র, স্বর্ণ ও টাকাসহ বেশ কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে একটি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি টিভি, আলমারি, ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল, ঘরের দরজা, টিনের বেড়া, বৈদ্যুতিক মিটারসহ দামি জিনিসপত্র ভেঙে চুরমার করার অভিযোগ করেন আহতরা।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এলাকার পরিবেশ এখন মোটামুটি শান্ত।