ফেইসবুকে লিখে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় প্রবীরের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানোর পর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই তাকে জামিন দিয়েছে ফরিদপুরের আদালত।
প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু জামিনের কপি নিয়ে জেলগেটে যান। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মামলার বাদী আইনজীবী স্বপন পাল বলছেন, এক দিনেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রবীরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ফরিদপুরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় প্রবীর সিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ।
প্রবীর সিকদারের পক্ষে তার আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চান। জামিনের পক্ষে প্রবীর সিকদার নিজেও আদালতে বক্তব্য পেশ করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে রোববার ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকে স্বপন কুমার পাল।
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের নিজ পত্রিকা কার্যালয় থেকে রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে প্রবীর সিকদারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর সোমবার ভোরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রবীর সিকদারকে বিকেলে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রবীর সিকদারকে জেলহাজতে পাঠান। এ মামলার পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছিল ২২ অগাস্ট।
এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ-বিক্ষোভের হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস