নিউজ ডেস্ক : মাসুদ আলম (৩৭) টঙ্গীর ট্যাম্পাকোর ওই কারখানায় কাজ করতেন আড়াই বছর ধরে। শনিবার ভোরে কারখানাতেই ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানান ভাগ্নি নার্গিস সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে যখন বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তখন আমার মামা কারখানাতেই ছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছি না। হাসপাতালেও খুঁজেছি কিন্তু পাই নি। কি ঘটেছে তার ভাগ্যে আমরা জানি না।’
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় ট্যাম্পাকো লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হয়ে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে পারে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হতাহতরা টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছেন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- ট্যাম্পাকোর সিকিউরিটি গার্ড আবদুল হান্নান ও জাহাঙ্গীর, প্রিন্টিং টেনিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, শিফট ইনচার্জ শুভাশিশ চন্দ্র, জেনারেটর অপরেটর আনিসুর রহমান, ক্লিনার শঙ্কর সরকার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতরা হচ্ছেন- সিকিউরিটি গার্ড দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মেশিনম্যান আনোয়ার হোসেন (৪০), শ্রমিক অহিদুজ্জামান স্বপন (৩৪) ও অজ্ঞাত নারী। -বাংলা ট্রিবিউন
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম