গাজীপুর : বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও নেভানো যায়নি টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানার আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিটের ১৫০ জন কর্মী চেষ্টা করে যাচ্ছেন আগুন নিয়ন্ত্রণের।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের মো. সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, তুরাগ নদী থেকে এনে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকাল পাঁচটার দিকে আগুন কিছুটা কমে যেতে দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর হঠাৎ আগুন বেড়ে যায়। এসময় এক নাগাড়ে আগুন জ্বলতে থাকে। তখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরও পানি দিতে দেখা যায়নি। এরপর রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানি নেই। তুরাগ থেকে পানি আনতে হচ্ছে। এতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া কেমিক্যালে আগুন বলে সহজে নিভছে না। হঠাৎ করেই জ্বলে উঠছে।’
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর ছয়টা পাঁচ মিনিটের দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে পাঁচতলা ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকরা রাতের শিফটে কাজ করছিলেন। এতে ২৫ জন শ্রমিক নিহত ও শতাধিক শ্রমিক আহত হন। নিহত ২৫ জনের মধ্যে ২৪ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন – আনিসুর রহমান (৪০), আব্দুল হান্নান (৬৫), ইদরিস আলী (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মামুন (২৮), রোজিনা (২০), মিজান (২৮-৩০), সাইদুর রহমান (৫০), মাইনুদ্দিন (৩৫), আল মামুন (৪০), হাসান সিদ্দিকি (৩০), সোলেমান (৩২), এনামুল হক (২৮), রাশেদ (২৫), শঙ্কর সরকার (২৫), গোপাল দাস (২৫), রফিকুল ইসলাম (২৮), সুভাষ চন্দ্র প্রসাদ (৩৫),আশিক (১২), দেলোয়ার হোসেন (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪০), ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন (৩৫), তাহমিনা আক্তার (২০), রিপন দাস (৩০)।
নিহত ২৫ জনের মধ্যে ২৪ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের ঢামেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম