রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৮:৪৯:৫৯

বাবার আহাজারি, ‘আমার মুরাদরে আইন্যা দেও’

বাবার আহাজারি, ‘আমার মুরাদরে আইন্যা দেও’

গাজীপুর : এখন শুধুই আহাজারি গাজীপুরের টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড নামের প্যাকেজিং কারখানা এলাকায়।  স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

শনিবার ভোরে আগুনে কারখানাটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে নিহত হয়েছেন ২৯ জন।  হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।  

নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।  নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে ছবি, পরিচয়পত্র, অফিস আইডি কার্ড নিয়ে দিনভর ধ্বংস্তূপের আশপাশে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক মা, বোন, ভাই, বাবা, স্ত্রী, স্বামী।  রাতেও রয়েছেন কেউ কেউ।

ওই কারখানার ম্যাকিং অপারেটর মুরাদের বাবা আবু তাহের আহাজারি করছেন।  তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে অফিসে যায় মুরাদ।  এরপর সকালে আর বাসায় ফেরেনি।  খবর পেলাম কারখানায় আগুন লেগেছে।  কারখানায় ছুটে এলাম।  

আবু তাহের বলেন, এসে আমার ছেলে মুরাদের কোনো খোঁজ পাইনি।  কোথাও তার লাশও পাইনি। আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি।  আমার মুরাদ কই? আমার মুরাদরে আইন্যা দেও।  

প্রিন্টিং অপারেটর জহিরুল ইসলামের এক স্বজন আলাউদ্দিন বলেন, গতকাল সকালে ফজর নামাজ শেষে কারখানায় যায় জহির।  এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই তার।

ওই কারখানার পাশে জেলা প্রশাসনের  নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ ১১ ব্যক্তি হলেন- মমতাজ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৩), শ্রী দিলীপের ছেলে রাজে বাবু (২২), মোজা মোল্লার ছেলে চুন্নু মিয়া (২২), আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন (২২), ছালেক মোল্লার ছেলে আজিম উদ্দিন (৩৫), আব্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৪), তোফাজ্জলের ছেলে মাসুম আহমেদ (২৮), খালেকের ছেলে কাজিমুদ্দিন (৩৬), আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল (৩৭), সুলতান গাজীর ছেলে আনিসুর রহমান ও ইউনুসের ছেলে নাসির উদ্দিন।
১১ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে