গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গীর প্যাকেজিং কারখানা টাম্পাকো ফয়লসের মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনায় মকবুল হোসেন এর দায় এড়াতে পারেন না। তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর কারখানাটিতে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ জন। আহত হয়েছেন আরো ৩৫ জন।
কারখানা মালিক বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও তিনি প্রশাসনকে এড়িয়ে চলছেন। এড়িয়ে চললেও পার পাচ্ছেন না তিনি।
তার সঙ্গে কথা বলতে না পারায় ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসনের তদন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকসহ বেশ কয়েকজন কারখানা মালিকের দায় পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার টাম্পাকোয় নিহত এক শ্রমিকের বাবা কারখানা মালিক মকবুল হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশও।
এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদারকে নির্দেশ দেয়ার কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনে আগুনে ১১২ জন নিহতের ঘটনায় কারখানা মালিক দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী ও কারখানার চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারসহ ১৩ জনের বিচার চলছে।
১৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম